দেশে গ্যাসের মজুদ ১৪ টিসিএফ
দেশে বর্তমানে কয়লা মজুদ ৩৫৬৫ মিলিয়ন টন এবং ১৪ দশমিক ০৮৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সংস্থার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি মজুদ থেকে ৫০ শতাংশ কয়লা উত্তোলন করতে পারি তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান মজুদের সঙ্গে ৪০ ট্রিলিয়ন গ্যাস যুক্ত হওয়া।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সরকার বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে এবং দেশব্যাপী পরিবহন লাইন সম্প্রসারণ করছে।
কয়লা ভিত্তিক জ্বালানিখাত সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে ৫৩ শতাংশ কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার একটি মাস্টারপ্লান তৈরি করেছে। দিন দিন বিদ্যুৎখাতের দৃশ্যপট পরিবর্তন হওয়ায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা কিছু প্রকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে স্থানান্তরের বিবেচনা করছি। আমরা ইতোমধ্যেই বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ১৩টি এলাকা চিহ্নিত করেছি।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৩০০০ মেগাওয়াট। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০১৮ সাল নাগাদ দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ আরইবি’র (পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) আওতায় নিয়ে আসা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার জ্বালানি পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় এবং চুরি বন্ধে চট্টগ্রাম ও ঢাকার মধ্যে পেট্রোলিয়াম জ্বালানি পরিবহনে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৮৯৭৮৬৬ ব্যারেল পেট্রোল, ৫,৪৩,১৫৩ ব্যারেল ডিজেল এবং ১৮৪৪৭৭ ব্যারেল কেরোসিন সরবরাহ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ খাতে অনেক বিদেশি কাজ করছে, সরকার তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। নিরাপত্তা উদ্বেগ বিদেশি বিনিয়োগ ব্যহত করবে না কারণ জাপান এ খাতে ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
আরএস/এমএস