ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনায় আক্রান্ত হননি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৩ পিএম, ০৫ মে ২০২০

বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তিনি রাজধানী মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দুই দফায় তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলেও প্রতিবারই তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার (৫ মে) তার মেয়ে রয়া মুনতাসীর এ তথ্য জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মেয়ে রয়া জানান, করোনা পরীক্ষায় তার বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে তিনি দুর্বল অনুভব করছেন এবং কিছু খেতে পারছেন না, শরীরে জ্বরও আছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৪ মে) তার দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ এসেছে বলে জানান তিনি।


এর আগে রোববার (৩ মে) সন্ধ্যায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মা বর্তমানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৮ এপ্রিল থেকে তিনি হাসপাতালে আছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মেয়ে রয়া মুনতাসীর আরও বলেন, ১০ দিন আগে বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। করোনাভাইরাসের উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। দুই দফায় করোনা পরীক্ষার পর বাবার ফল নেগেটিভ এসেছে।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের জন্ম ১৯৫১ সালের ২৪ মে, ঢাকায়। তিনি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামের পোর্ট স্ট্রিট হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৭৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৭৪ সালের ৩১ অক্টোবর। তিনি ১৯৮০ সালের ১ ফেরুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ১৯৮৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালের ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরকালীন ছুটিতে যান তিনি।

১৯৮৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাউথ অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজে ‘ইনসাইড ব্যুরোক্রেসি : বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা সম্পন্ন করেন। অধ্যাপক মুনতাসীর একজন লেখক, শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ হিসেবে সর্বজন পরিচিত।

এমএইচএম/এমএফ/এমকেএইচ