বৃষ্টি উপেক্ষা করে ওএমএসের পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়
মঙ্গলবার, মধ্য দুপুর। হঠাৎ করেই নামে বৃষ্টি। এ সময় রাজধানীর নিউমার্কেটের সামনে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) ট্রাক থেকে তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজ কেনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বেশ জোরেশোরে শুরু হয় বৃষ্টি। কিন্তু এতে বিকার নেই কারও। তাদের একটাই চিন্তা, কখন লাইন শেষ হয়ে ট্রাকের সামনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করবেন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার বার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন তারা। একান্ত প্রয়োজনে বাইরে বের হলে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে তিন ফুট) বজায় রেখে চলাচলের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
মঙ্গলবার সরেজমিনে নিউমার্কেট ও আজিমপুর এলাকার একাধিক ওএমএসের ট্রাকের সামনে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিন আগে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ালেও আজ তা মানা হচ্ছে না। বলতে গেলে গায়ে গা ঘেঁষেই দাঁড়াচ্ছেন তারা। তবে তাদের সবার মুখেই ছিল মাস্ক।
নিউমার্কেটের ওএমএসের ট্রাকের অদূরে একটি পুলিশভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও শারীরিক দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য তাদের আজ মাইকিং করতে দেখা যায়নি। বৃষ্টির মধ্যে বেশ কিছুটা দূরে তারা গাড়ি থামিয়ে বসেছিলেন।
ওএমএসের ট্রাকের সামনে দেখা গেছে, ক্রেতাদের মধ্যে তেল, ডাল ও খেজুরের চাহিদা বেশি। চাহিদা অনুযায়ী ক্রেতারা তা পান না। অনেকে ওএমএসের ট্রাক থেকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিনছেন। যাদের জন্য ওএমএসের মূল টার্গেট সেই অপেক্ষাকৃত গরিবদের কাছে টাকা না থাকায় তারা পণ্য কিনতে পারছেন না। করোনা পরিস্থিতির এ সুযোগে অনেকেই প্রতিদিন দরিদ্রদের কিছু টাকা দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে তেল, চিনি, ডাল ও খেজুর কিনে মজুতও করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমইউ/এমএসএইচ/পিআর