ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে সিপিবি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২০

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও জনগণের দুর্ভোগ মোকাবিলায় সরকারের করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। রোববার সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রদান করেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।

এদিকে চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ফরিদপুর, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, রাঙামাটি, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, ঝালকাঠি, শরীয়তপুর, লালমনিরহাট, জামালপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, পাবনা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, যশোর, কুড়িগ্রাম, নোয়াখালীসহ সারাদেশে সিপিবির জেলা নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একযোগে প্রধানমন্ত্রীকে এই স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই মহাসংকট পৃথিবীর কোনো একটা দেশের পক্ষে যেমন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, তেমনি কোনো দেশে একা সরকার বা একক কোনো দলের পক্ষে তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সে জন্য প্রয়োজন সমন্বিত বৈশ্বিক ও জাতীয় উদ্যোগ। কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে সব দল, শক্তি ও ব্যক্তির সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

স্মারকলিপিতে করোনা মোকাবিলায় সিপিবি ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কমিউনিস্ট পার্টি ও সহযোগী গণসংগঠনগুলো জনগণের সহযোগিতায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য যা করেছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছাড়া এ মহাবিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না। করোনা মহাবিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতির সমস্ত শক্তি-সামর্থ্য নিয়োজিত করা খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ।

স্মারকলিপিতে করোনা মহাবিপর্যয় মোকাবিলায় এখনই পরামর্শ সভা আহ্বান, জাতীয় বাজেট পুনর্বিন্যস্ত করে করোনা মোকাবিলায় বাজেটের পর্যাপ্ত টাকা বরাদ্দ, সব উপজেলায় বিশেষায়িত ব্যবস্থাসম্পন্ন ‘টেস্টিং বুথ’ স্থাপন, করোনা পরীক্ষার জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘বিশেষায়িত ল্যাব’ স্থাপন, ক্ষুধার্ত পরিবারকে বিনামূল্যে তিন মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রদান, শ্রমিক-কর্মচারীদের এক থেকে দুই মাস সবেতন ছুটি প্রদান, ‘অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রণোদনা’র সিংহভাগ অর্থ সরাসরি কৃষক, শ্রমজীবী, ক্ষুদে ও মধ্য বিনিয়োগকারীদের প্রদান, ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয়কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, প্রতিটি গ্রামে ‘গ্রাম সুরক্ষা কমিটি’ গঠন এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট বন্ধে কঠোর নজরদারি ও শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।

এফএইচএস/বিএ/জেআইএম