ফজলু মিয়ার ২২ বছর ফিরিয়ে দেবে কে?
বিনা বিচারে ২২ বছর কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ফজলু মিয়া। এর আগে অনেক আইনি লড়াইয়ের পর ২০০৩ সালে আদালত তাকে মুক্তির আদেশ দিলেও মুক্তি মেলেনি ফজলু মিয়ার। অবশেষে একটি মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় সম্প্রতি সিলেটের জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এখন প্রশ্ন হলো- বিনা বিচারে ফজলু মিয়ার জীবনের একটা বড় অংশই কেটে গেলো কারাগারে। তার এই নষ্ট হয়ে যাওয়া দিনগুলো এখন ফেরত দেবে কে? ক্ষতিপূরণই বা পাবেন কি-না তিনি?
এমনই অনেক প্রশ্ন তুলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সুলতানা কামাল বলছেন, ফজলু মিয়ার জীবনের সেই সময়গুলো কেউ ফেরত দিতে পারবে না। তারপরও কোনভাবে তাকে যদি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া যেতো। কিন্তু এ ধরণের কোন উদাহরণই তৈরি হয়নি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, ফজলু মিয়ার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রশ্নে আইনগত বিষয় তারা খতিয়ে দেখবে।
১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গন থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে ৫৪ ধারায় সন্দেহবশত আটক করা হলেও পরে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে সে সম্পর্কিত বিধিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে রাখা হয়েছিল।
এক পর্যায়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ফজলু মিয়াকে পাবনা মানসিক হাসপাতালেও চিকিৎসা করানো হয়েছিল। গত ২২ বছরে ফজলু মিয়াকে ১৯৮ বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত সিলেটে কারাগারের সুপার আইনি সহায়তাদানকারি বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্ট এর সহায়তা নিয়ে ফজলু মিয়াকে মুক্ত করেন।
আরএস/পিআর