কেরানীগঞ্জে চিকিৎসক ও পুলিশসহ আরও চারজন করোনা আক্রান্ত
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় একদিনে চিকিৎসক, পুলিশ ও চিকিৎসকের সহকারীসহ নতুন করে আরও চারজন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৬ জনে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে মোট তিনজনের।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসেন। আক্রান্তরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক (৩২), চিকিৎসক সহকারী (২৮), কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এএসআই (৫৫) ও শাক্তা ইউনিয়নের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোবারক জানান, সোমবার সন্ধ্যায় পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে আমরা ওই চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমন পেয়েছি। আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী আক্রান্তদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুইজনকে তাদের নিজ বাড়িতে আইসলোশনে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে ডা. মোবারক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আক্রান্তদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছি। কেরানীগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে।
আজ নতুন করে ওই চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও গতকাল রোববার জিনজিরা ও আঁগানগর এই দুই ইউনিয়নে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তরা সবাই পুরুষ। বয়স যথাক্রমে ৩২, ৩৮, ৪২, ৫৬ ও ৭০ বছর। গত দুদিনে নয়জন আক্রান্ত নিয়ে সব মিলিয়ে এ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত মোট ৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গত মঙ্গলবার ও গতকাল রোববার ৮০ ও ৭০ বছর বয়সী দুই বৃদ্ধসহ ৬৫ বছর বয়সী আরও এক বৃদ্ধ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানান ডা. মোবারক। আক্রান্তদের এলাকাগুলোয় বসবাসরত মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমরা দেখভাল করছি আর হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সবধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসন দেখছে বলে জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান, আমাদের এক এএসআই ছুটিতে থাকা অবস্থায় আজ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। ছুটিতে থাকায় কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন বিধায় তিনি থানায় কর্মরত অন্য কারো সংস্পর্শে আসতে পারেননি। এজন্য অন্য কারো সংক্রমিত হওয়ার ভয় না থাকায় আমাদের থানার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আসাদুজ্জামান সুমন, ঢাকা দক্ষিণ/এমআরএম