ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আগামী কদিনে ভারত থেকে ফিরবেন আরও অনেক বাংলাদেশি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া ১৬৪ জন বাংলাদেশি সোমবার (২০ এপ্রিল) দেশে ফিরেছেন। আরও যে শত শত বাংলাদেশি একইভাবে আটকে পড়েছেন, তারাও সামনের ক’দিনে বেশ কিছু ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন।

সোমবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশন ঢাকার উদ্যোগ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশিদের আকাশপথে দেশে ফেরাচ্ছে।

‘ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাসহ সীমান্তবর্তী রাজ্যসমূহ থেকে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনগুলোর সহায়তায় উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক আটকে পড়া বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বর্তমানে দিল্লি ও কলকাতা মিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে অনেকেই দেশে ফিরেছেন এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।’

হাইকমিশন জানায়, লকডাউন শুরুর আগে থেকেই ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আটকে পড়াদের সহায়তার জন্য হটলাইন চালু করে। এ ফোনগুলোতে গত এক মাসে প্রায় ১০ হাজারের মতো কল এসেছে। এ সময়ে যোগাযোগকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সবার তালিকাও করা হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে হাইকমিশন অনুমান করেছে যে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করছিলেন। তালিকাভুক্তদের অনেকের সঙ্গে হাইকমিশন নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতে থাকা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে হাইকমিশনের তরফ থেকে। একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গ্রুপটি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সপ্তাহগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের অনেকে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, রাজ্য কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল, হোটেল, আবাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেই নির্দেশনা যথাসময়ে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। খাদ্য ও আবাসন সংক্রান্ত অসুবিধা লাঘবের জন্য ভারত সরকারের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

‘বর্তমানে তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে আটকে থাকা অসুস্থ ও প্রবীণদের আকাশপথে দেশে ফেরানোর জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে এবং তাদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি সকল রাজ্য থেকে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহীদের দেশে ফেরানোর জন্য দূতাবাস সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে খাদ্য, আবাসন ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

হাইকমিশন জানায়, দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় কিছু বাংলাদেশি তাদের অসুবিধার কথা জানালে দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্থানীয় সরকারের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। দিল্লিসহ অন্যান্য বড় শহরে যেখানে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি আটকে রয়েছেন তাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা চলছে ।

‘দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত আটকে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধাসমূহ কিভাবে আরও সহনীয় করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতি যে ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে মোকাবেলা করছেন, দূতাবাস সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানায়।’

জেপি/এইচএ/এমএস