ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভি‌ডিও কনফা‌রে‌ন্সে যেসব নির্দেশনা দি‌লেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

সোমবার (২০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করেছেন। এ সময় তি‌নি জেলা প্রশাসক, পু‌লিশ সুপার, সেনা সদস‌্য, সি‌ভিল সার্জন, নার্স, জেলা প‌রিষ‌দের চেয়ারম‌্যান, সংসদ সদস‌্য, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ইমা‌মের স‌ঙ্গে কথা ব‌লেন। তি‌নি প্রত্যেকের কথা ম‌নো‌যোগ দি‌য়ে শো‌নেন এবং ক‌রোনায় কী করণীয় সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী ব‌লেন, ‘ক‌রোনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর ২৫০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হ‌য়ে গে‌ছে। মস‌জিদ, ম‌ন্দির, গির্জা ও প‌্যা‌গোডায় এখন আর জমা‌য়েত নেই। এর মধ্যেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। কিছু শিল্প-কলকারখানা চালু রাখতে হবে। আর কৃষি কাজ পুরোটাই অব্যাহত রাখতে হবে। তারাবির নামাজ ঘরে পড়া এবং বেশি বেশি করে আল্লাহকে ডাকা যাতে তিনি আমাদের করোনা মুক্ত করেন। নিরাপদ দূরত্ব থেকে করোনা রোগীকে চিকিৎসা করতে হবে।’

তিনি ব‌লেন, ‘করোনা প্রতিরোধ করার জন্য যে ৩১ দফা নির্দেশনা গিয়েছে সেই নির্দেশনা মেনে চলবেন, নিজেকে সুরক্ষা করবেন এবং অপরকে সুরক্ষা রাখবেন। এপ্রিল মাসটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাস আমাদেরকে সাবধানে থাকতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে ১৫০ জন বাঙালি মারা যাওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এত উন্নত দেশ সেখানেও এ ধরনের মৃত্যু হচ্ছে। ইউকেতেও (যুক্তরাজ্য) দুইজন বাঙালি ডাক্তারসহ বেশ কিছু লোক মারা গেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। বাংলাদেশের মানুষ যদি নির্দেশনাগুলো মানে তাহলে আমরা আরও ভালো থাকতে পারব।’

ধান কাটার জন্য শ্রমিক ও মজুররা যাতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারেন সেজন্য ব্যবস্থা করে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ বাজারে বাড়াতে এবং হাট-বাজারে দূরত্ব বজায় রেখে যেন চলে সে নির্দেশনাও দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা যে ত্রাণ দিচ্ছি, তাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকার পাবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সচিবদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ত্রাণসহ সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করবেন। ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছি, মানুষের ধান কাটার জন্য। এছাড়া ২০০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ধান কাটার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। ভেঙে পড়ার কিছু নেই। দুর্যোগ আসবে, সে দুর্যোগকে আমরা জয় করব। বাঙালি সাহসী মনের মানুষ। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। মনে সাহস নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব নিয়মকানুন মেনে চলব, তাহলে আমরা করোনা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে পারব।’

সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকা‌রি বাস ভবন গণভবন থে‌কে এই কনফারেন্স শুরু হয়। দুপুর ১টায় শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ‌্য স‌চিব ড. আহ‌মেদ কায়কাউস অনুষ্ঠান‌টি প‌রিচালনা ক‌রেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষে ভিডিও কনফারেন্সে মত বিনিময় শুরু হয়। প্রথমেই মাইক দেয়া হয় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম শরিফুল ইসলামকে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আগামী ২৬ তারিখ থেকে কিছু কিছু গার্মেন্টস চালুর জন্য বিজিএমইএ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গাজীপুরে এমনিতেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৯ জন। তাছাড়া এখানে বেশ কিছু শিল্প কারখানা খোলা আছে, এগুলো কীভাবে মেইনটেইন করব?’

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুর আক্রান্ত বেশি, এখানে আমার মায়ের নামে যে হাসপাতালটি রয়েছে (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল) সেটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রিজ খোলা দরকার, তবে সেগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা যেন মেনে চলে। শ্রমিকদের ‌যেন সুরক্ষা করা হয়। যেমন- ওষুধ ফ্যাক্টরি, মাস্ক, পিপিই, হেড ক্যাপসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির জন্য যে সমস্ত ফ্যাক্টরি খোলা রাখা দরকার, তা সীমিতভাবে রাখতে হবে। কিন্তু আগের মতো সুপারভাইজারদের দিয়ে গার্মেন্টসকর্মীদের যেভাবে ডেকে আনা হয়েছে সেই অমান‌বিকভা‌বে যেন ঢাকায় না আনা হয়। গার্মেন্টস চালু করলে সেখানে যেন ডব্লিউএইচও-এর দেয়া নির্দেশনা মে‌নে কাজ করা হয়।’

এখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন সবুজ, ডাক্তার মো. শাহিন বক্তব্য রাখেন।

এরপর মাইক হস্তান্তর করা হয় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের কাছে, তিনি জেলায় ৬ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন। এছাড়া তিনি বলেন, ‘৫৪ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে’। তিনি জেলার বর্তমান পরিস্থিতি বিস্তারিত তুলে ধরেন। মানিকগঞ্জে করোনাভাইরাস কম আক্রান্তের খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হন। তিনি বলেন, ‘এটাতো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এলাকা, কাজেই এখানে ভালো থাকতেই হবে’। এখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয় বক্তব্য রাখেন।

pm

প্রধানমন্ত্রী সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘আক্রান্তের পরিমাণ যেন আর না বা‌ড়ে, সেজন্য আপনারা সবাই সচেতন থাকবেন। এলাকার গরিব মানুষের প্রতি দৃষ্টি দেবেন। সামনে রমজান তারা যেন না খেয়ে না থাকে।’

এরপর টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের কাছে সংযোগ দেয়া হয়। তিনি জেলায় ১১ জন আক্রান্ত এবং সেখানকার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। সেখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা টাঙ্গাইল জেলাকে ভালো রাখতে পেরেছেন এ পর্যন্ত ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এত বড় একটা জেলায় আপনারা ভালোভাবে চেক দিয়েছেন।’ এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী এই দুঃসময়ে টাঙ্গাইলবাসীর সঙ্গে থাকার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সকলকে আহ্বান জানান।

টাঙ্গাইল জেলায় শেষ করে মাইক হস্তান্তর করা হয় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুরশিদ চৌধুরীর কাছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই জেলায় কোনো করোনা রোগী ছিল না। ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে যারা এই জেলায় প্রবেশ করেছেন তারা করোনা ছড়িয়েছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত মোট ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নিজেরা সুরক্ষিত থাকবেন এবং অপরকে সুরক্ষা দেবেন। হাওর অঞ্চলের এই জেলায় ধান কাটা শুরু হবে, কিছু কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা কিছু জায়গায় ধান কাটা শুরু করেছে। অন্যান্য যে সমস্ত শ্রমিক এখন সেখানে বেকার বসে আছেন, তারা যেন বেকার বসে না থেকে ধান কাটা শুরু করতে পারেন। ধান কাটলে টাকাও পাবেন আবার কৃষ‌কের উপকার হবে। এই সুযোগটা আপনারা নিতে পারেন। আমরা ধান চাল ও গম মিলিয়ে মোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করব।’

এখানকার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন তার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো এখানে শ্রমিক এনে দিচ্ছি। স্থানীয় শ্রমিক‌দের রিলিফ দেওয়ার পরে শ্রমিকরা আর ধান কাটতে যাবে না‌। কারণ আমাদের দেশের মানুষের কিছু প্রবণতা আছে, সেটা হলো ঘরে খাদ্য থাকলে আর কাজ করতে চায় না’।

কিশোরগঞ্জে একজন ইমাম বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী‌কে বলেন, ‘আমরা আপনার নির্দেশনা অনুযায়ী আলেম সমাজ মসজিদে পাঁচজন ও ১০ জন করে নামাজ আদায় করছি। হযরত ওমর (রা.) মানুষের দুঃখ লাগবে যে ধরনের চিন্তা করতেন আপনিও ঠিক ওই ভাবে চিন্তা করছেন। আপনি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছেন। আপনি সুস্থ থাকলে দেশ ভালো থাকবে। আমরা তারাবির নামাজ ঘ‌রে পড়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এখানে আমাদের একটি সংগঠন আছে, যে সংগঠনের উদ্যোগে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যেভাবেই মারা যাক না কেন, আমরা তাদের সৎকার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। এই সংগঠনে ২৩ জন আলেম রয়েছে।’ তাদের সুরক্ষার জন্য এবং মরদেহগুলো সৎকার করার জন্য যে সমস্ত প্রটেকশন দরকার এজন্য পিপিইসহ আরও যে সমস্ত সামগ্রী দরকার তা দেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান।

ইমাম সাহেবের বক্তব্য শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অত্যন্ত উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। নবী করিম (স.) সকল ধর্মের প্রতি উদার হওয়ার কথা বলেছেন। আপনারা সবাই মিলে যে কাজ করছেন এটা অত্যন্ত ভালো কাজ।’

এরপর মাইক হস্তান্তর করা হয় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনুল ইসলামের কাছে। তিনি এ জেলায় ২৪ জন আক্রান্তের কথা জানান। এছাড়া কত পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করবেন। ঘনঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে বলবেন। মানুষের সঙ্গে যাতে বেশি মেলামেশা না করে বেশি বেশি গরম পানি খাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবেন।’ এখানকার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন।

এরপর জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হককে মাইকে দেয়া হলে তিনি বলেন, ‘আপনার দেয়া ৩১ দফা নির্দেশনা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি’। এ জেলায় ২৪ জন আক্রান্ত এবং দুইজনের মৃত্যুর কথা জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জামালপুর জেলা থেকে ৭০০ কৃষিশ্রমিক হাওর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে ধান কাটার জন্য’। তিনি জামালপুর জেলায় একটি করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করার দাবি জানান। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।

এরপর মাইক হস্তান্তর করা হয় শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুবের কাছে। তিনি বলেন, ‘এ জেলায় ১৭ জন শনাক্ত হয়েছে। জেলায় দরিদ্র মানুষ খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে শাকসবজি বিতরণ করছি। এছাড়া অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন পরিবারের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তারা যেন যত্রতত্র না বের হয়, এজন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আক্রান্তের সংখ্যা যেন ১৭ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে সেভাবে আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন’।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, সংসদ সদস্য ও হুইপ আতিউর রহমান আতিক বক্তব্য রাখেন। আতিক বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসক, সেনা সদস্য, পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ নেতা, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিয়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। কিন্তু বিএনপি এবং অন্যান্য কিছু দল তাদের একজন লোককে আমরা শেরপুরে বের হতে দেখিনি এবং কোনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে দেখিনি। আর কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। শ্রমিকরা যখন পেঁয়াজ ও শুকনো মরিচ দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে মাঠে নামবে, তখন যে ঘাম বের হবে সেই ঘা‌মের সঙ্গে করোনা দূর হয়ে যাবে’।

সর্বশেষ মাইক হস্তান্তর করা হয় ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানের কাছে। এখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, একজন ব্যবসায়ী, একজন নার্স ও একজন সেনা সদস্য বক্তব‌্য রা‌খেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের এই মেডিকেল কলেজে সুন্দর একটি ল্যাব স্থাপন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা প্রতিদিন ২০০ ক‌রোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারছি। আমরা ডাক্তার নার্স এবং টেকনিশিয়ান যেভাবে রোগীদের কা‌ছে গি‌য়ে কাজ ক‌রি, তা‌তে আমরা ঝুঁকির ম‌ধ্যে থা‌কি’।

নার্স চন্দনা রানী দত্ত বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করছি। আমরা যারা বাড়ি ভাড়া থাকি তাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আমাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা এবং গাড়ির ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এতে আমাদের প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা নিরাপদ থাক‌বে। আমরা পিপিই মাস্কসহ অন্যান্য সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নার্সদের যাতায়াত অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের সুরক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন তা দিতে হবে। ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও সেনা সদস্য সবাই প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছেন। জনপ্রতিনিধিরা তাদের দিকে দৃষ্টি দেবেন।’

এরপরে সংযোগ দেয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরে। স্বাস্থ্য অধিদফতরকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পিপিই, মাস্ক গ্লাভসসহ যারা বিভিন্ন জিনিস সাপ্লাই দেবেন তার গুণগতমান ঠিক আছে কি না সেগুলো আপনারা দেখে নেবেন। কারণ মহানগর হাসপাতালে যে পি‌পিই ও মাস্ক দেয়া হ‌য়ে‌ছে তা অত্যন্ত নিন্মমা‌নের।’ এন৯৫ লেখা থাকলেও ভেতরে সে জিনিসের গুণাগুণ সঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য স‌চিব বিষয়গু‌লো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক‌রে এক দি‌নের ম‌ধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন।

এফএইচএস/এফআর/জেআইএম