জেলার ত্রাণ-স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে সচিবরা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জেলাগুলোর ত্রাণ কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কি-না তা তদারকি করার দায়িত্ব সচিবদের দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ এপ্রিল) করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাব যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে নির্দেশনাগুলো আসছে, সেগুলো আপনারা যথাযথভাবে মেনে চলবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সচিববৃন্দ আছেন, যেহেতু এখন মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো অনেকটা সীমিত হয়ে গেছে। তাই এক একটা জেলায় এক একজন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি, ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি-না, তারা সেই সমস্ত জেলায় খোঁজখবর নেবেন এবং সেই রিপোর্টটা আমাকে দেবেন।’
‘সেইসঙ্গে আমাদের দলীয় লোকজন আছে তাদেরকে আমার নির্দেশ দেয়া আছে দলের পক্ষ থেকে, একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি করে দেবে। সত্যিকার যাদের ত্রাণ পাওয়ার কথা, তারা যাতে পায় সেই তালিকা করতে তারা সহযোগিতা করবে। সেখানে তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ধান কাটায় যখন অসুবিধা হলো, আমাদের ছাত্রলীগকে নির্দেশ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা নেমে পড়েছে। নিজেরা এখন স্ব স্ব এলাকায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ধান কাটছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার জন্য সারা বিশ্বব্যাপী খাদ্যমন্দা সৃষ্টি হবে। আগামীতে হয়তো বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যদি খাদ্য উৎপাদন করে মজুত রাখতে পারি, তাহলে আমরা সেই দুর্ভিক্ষে পড়ব না। সেই ব্যবস্থা এখন থেকে নিতে হবে। কারো একটুকু জমি যেন পড়ে না থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনীতি সচল রাখার জন্য ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি।’
রোজার সময়ও যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সেজন্য আরও বিশেষভাবে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। আমাদের ধান উঠছে।’
আরএমএম/এসআর/পিআর