ধর্মীয় নেতাদের উচিত জমায়েত পরিহার করা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় এক মাদরাসা প্রিন্সিপালের জানাজায় গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। ধর্মীয় নেতাদের এ ধরনের জমায়েত পরিহার করা উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের জমায়েত খুবই ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ একটি জামায়েতে লক্ষ্য করলাম, সেখানে হাজার হাজার লোক জানাজায় শরিক হয়েছেন। এ সময় এ ধরনের জামায়েত খুবই ক্ষতিকর। আশঙ্কা করি, অনেক লোক হয়তোবা আক্রান্ত হয়েছেন। এই ধরনের দায়িত্বহীন কাজ হওয়া উচিত নয়। এখানে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে– আমরা এই ধরনের মনোভাব পোষণ করি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মীয় নেতাদের উচিত, এই ধরনের জমায়েত পরিহার করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের জমায়েত খুবই ক্ষতিকর।’
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনা রোগীরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি জানার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলার সঙ্গে কথা বলে থাকি। জানতে পারি, সেসব এলাকায় যত করোনা রোগী পাওয়া গেছে সবই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গিয়েছে। এরাই মূলত সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। এখনও এই কাজটি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের বিশেষ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে করোনা পজিটিভ ৩০০ এর মধ্যে রয়েছে। যদি অতিরিক্ত না বাড়ে তাহলে আমরা ভাগ্যবান। আর যদি অনেক বাড়তে থাকে তাহলে এটা আশঙ্কার কারণ। প্রথমত, আমরা যেভাবে আশা করছি সেভাবে লকডাউন কাজ করছে না। দ্বিতীয়ত, লোকজন আক্রান্ত এলাকা থেকে ভালো এলাকায় যাচ্ছেন। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আক্রান্তের সপ্তম সপ্তাহে আছি। এ সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপে লাখ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল এবং হাজার হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য নির্দেশনাবলি না মেনে চললে আমাদেরও ফলাফল ভালো হবে না। তাই অনুরোধ করব, স্বাস্থ্যবিধিমালাগুলো মেনে চলুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেন, শতকরা ৮০ ভাগ রোগী এমনিতেই সেরে উঠেন। ১৫ ভাগ রোগীরা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকেন ও সামান্য কিছুর পরিচর্যা লাগে। বাকি ৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসা লাগে আর কিছু রোগীর আইসিইউ, ভেন্টিলেটরে চলে যান।’
পিডি/এফআর/এমএস