অন্য রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালের সংখ্যা কমে যাচ্ছে
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতাল সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে পুড়ে যাওয়া, কিডনি, ক্যানসার, গর্ভবতীসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য হাসপাতালের সংখ্যা কমে আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য আরও কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ৫০০ শয্যার মুগদা হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, নগর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, লাল কুটির হাসপাতাল। এ হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করা খুব কঠিন কাজ। কারণ এগুলো চলমান হাসপাতাল। এখানে রোগী রয়েছে। এখানে ক্যানসারের রোগী রয়েছে, ডায়ালাইসিসের রোগী রয়েছে, বার্ন ইউনিটে রোগী রয়েছে এবং গর্ভবতী মায়েরা এখানে রয়েছে। কাজেই তাদের অন্য হাসপাতালে সরানো দুরূহ বিষয়। কারণ, অন্য হাসপাতালের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রায় প্রস্তুত হয়ে আসল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩০০ শয্যার কার্যক্রম চলছে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে চারটি বহুতল ভবনের ১২০০ শয্যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সারা দেশের হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘সকল বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার আইসিইউসহ করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে এখন রোগীরা সেবা নিচ্ছে। জেলা শহরে ৫০ থেকে ১০০ শয্যার করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি আইসিইউ সাপোর্টসহ করোনা হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকগুলো বেসরকারি হাসপাতালও হাতে আছে। তারাও এগিয়ে আসছেন সেবা দেয়ার জন্যে। ইতিমধ্যে ইউনিভার্সাল হাসপাতাল ১০০ শয্যার এবং আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ ২০০ শয্যার হাসপাতালটি করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করছি।’
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭৫। আক্রান্তদের মধ্যে আরও নয়জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।
পিডি/এফআর/জেআইএম