ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আগারগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবনের গার্ডের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০

সৈয়দ আমানত আলী

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলা থেকে আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামের এক নিরাপত্তা প্রহরীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার ইসলামপাড়া গ্রামে। স্থানীয় মৃত মমিন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় বিল্ডিয়ের মালিক ডা. এমদাদুল হক বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

ভবনের মালিক ডা. এমদাদুল হক বলেন, ‘এক বছর আগে থেকে তিনি এখানে চাকরি করেন। লকডাউনের কারণে আমরা এখানে আসতে পারি না। হঠাৎ ফোন পেয়ে আমি এসে দেখি আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ। মামলা করেছি আশা করি, কারা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে।’

ভবনের পাশে চা-পানের দোকানদার মো. জহির বলেন, ‘তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। আমরা শুনে অবাক হলাম। এত ভালো লোককে কীভাবে মানুষ মারতে পারে। মরদেহ নামানোর পরে দুর্গন্ধে কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না।’

অষ্টম তলা থেকে মরদেহ নামানো মো. শরীফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমরা মহল্লায় পাহারা বসিয়েছি। হঠাৎ শুনি আনোয়ার ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। দেখে মনে হলো দুদিন আগে মেরে ফেলে রেখে গেছে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে কাছে যাওয়া যায় না।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রশীদ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করার বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।’

শেরেবাংলা নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাগো নিউজকে বলেন, ‘কী কারণে হত্যা করল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে দু-একদিন আগে হত্যা করা হয়েছে। অভিযানে আছি, আশা করি আপনাদের ভালো কোনো খবর দিতে পারব।’

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জানে আলম মুনশি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে একটা মরদেহ অষ্টম তলায় আছে এমন একটা খবর পাই আমরা। পরে আমাদের টিম গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভবনের মালিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পর থেকে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের একটি টিম হত্যায় যারা জড়িত তাদের ধরার বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছে।’

এফআর/পিআর