করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউর সংখ্যা বাড়ল
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বেশ কয়েক দিন ধরেই জানিয়ে আসছিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ১১২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রয়েছে। গত ১২ এপ্রিলও আইইডিসিআর তাদের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) আইইডিসিআর জানায়, বর্তমানে আইসিইউর সংখ্যা ১৯২টি। অর্থাৎ করোনা রোগীদের জন্য ৮০টি আইসিইউর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে ১৯২টি আইসিইউর সংখ্যার তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশের জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৮৮টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টাইন করা যাবে ২৬ হাজার ৩৫২ জনকে। মোট আইসোলেশন শয্যা ৭ হাজার ৬৯২টি। ঢাকা মহানগরীতে ১ হাজার ৫৫০টি এবং ঢাকা শহরের বাইরে ৬ হাজার ১৪৩টি আইসোলেশন শয্যা। এসব হাসপাতাল মিলে আমাদের আইসিইউর সংখ্যা ১৯২টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ৪০টি।’
অন্যান্য তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য বাতায়নের হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় কল পেয়েছি ৫৩ হাজার ২৫২টি, আজ পর্যন্ত কল পেয়েছি ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৪টি। ৩৩৩ নম্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় কল পেয়েছি ৩৭ হাজার ১২৬টি, আজ পর্যন্ত আমরা এ নম্বরে কল পেয়েছি ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৩টি। আইইডিসিআরের হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় কল এসেছে ২ হাজার ৯৪৫টি, আজ পর্যন্ত এ নম্বরে কল এসেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কল ৯২ হাজার ৩২৩টি। এখন পর্যন্ত আমরা মোট কল রিসিভ করেছি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৬২টি।’
হটলাইনে সেবা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ১৪ হাজার ৬৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ১২৫ জন চিকিৎসক। বর্তমানে স্বেচ্ছায় সেবা দিচ্ছেন ৩৭৫৯ জন চিকিৎসক। তারা সবাই হটলাইনের মাধ্যমে টেলিফোনে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে আরও ২০৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এটি দেশে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড। নতুন রোগীদের মিলিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও সাতজনের। একদিনে মৃত্যুর এ সংখ্যাও দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে।
পিডি/এমএসএইচ/জেআইএম