বাড়ির পথে ৯৭ অভিবাসী : ১০৩ দালাল শনাক্ত
বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন মিয়ানমার ফেরত ৯৭ অভিবাসন প্রত্যাশী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার দুপুর ১২টায় নিজ জিম্মায় বাড়ির পথে গাড়িতে তুলে দেয়া হয়েছে তাদের।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কক্সবাজারসহ ১৭ জেলার ১০৩ জন দালালকে শনাক্ত করেছেন পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছয়জনকে আদালতের নির্দেশে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে কক্সবাজার রেডক্রিসেন্ট ইউনিট।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ১০৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যে বগুড়ার ৩১ জন, শরীয়তপুরের ১৩ জন, নরসিংদীর ১২ জন, ঝিনাইদহের ৯ জন, নারায়ণগঞ্জের ৭ জন, হবিগঞ্জের ৬ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, ফেনী ও পাবনার একজন করে, বান্দরবান, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা ও গাইবান্ধার ২ জন করে, জয়পুরহাট, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জের তিনজন করে। এর মধ্যে ৬ জন শিশুকে মঙ্গলবার রাতে ও প্রাপ্ত বয়স্ক ৯৭ জনকে বুধবার দুপুরে বাড়ির পথে গাড়িতে তুলে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জাগো নিউজকে জানান, ফিরিয়ে আনা অভিবাসন প্রত্যাশীদের দুদিন কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কক্সবাজারসহ ১৭ জেলার ১০৩ জন মানব পাচারকারীর পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের ২৮ জন দালালের নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় দালালদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ চিহিৃত অনেক মানবপাচারকারীকে আটক করেছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর জাগো নিউজকে জানান, ফেরত আনা ১০৩ জনের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক ৯৭ জনকে আইওএম এর সহায়তায় বুধবার দুপুরে নিজ জিম্মায় বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারের কারাগারে শনাক্ত হওয়া আর কোনো বাংলাদেশি নেই। তারপরও যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়া ষষ্ঠবারের মতো সোমবার ফেরত আনা ১০৩ জনসহ সর্বমোট ফেরত আনা হয় ৭২৯ জনকে।
এমজেড/পিআর