রিয়াদে বাংলাদেশিদের মাঝে খাদ্য বিতরণ শুরু করেছে দূতাবাস
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে কারফিউ শুরু হওয়ায় সমস্যায় পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার সকালে রিয়াদের বাথা এলাকায় দশজন অভিবাসী বাংলাদেশির হাতে এ ফুড বাস্কেট তুলে দেয়া হয়।
গত ২৩ মার্চ থেকে দেশটিতে শুরু হওয়া কারফিউর কারণে অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার অংশ হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফুড বাস্কেট বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২১ লক্ষ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। অর্থনৈতিক সংকটে পড়া অভিবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তার জন্য তালিকা তৈরি করছি।
তিনি বলেন, তালিকা অনুযায়ী অভিবাসী বাংলাদেশিদের কাছে ফুড বাস্কেট পৌঁছে দেয়া হবে। এ ফুড বাস্কেটে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ডাল, দেড় লিটার তেল, লবন ও সাবান। এ খাদ্য বিতরণের ফলে বিপদগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপকৃত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে তিন হাজার ফুড বাস্কেট বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত জানান। পর্যায়ক্রমে সৌদি আরবের অন্যান্য স্থানে আরও ফুড বাস্কেট বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেন কোনো বাংলাদেশি অভিবাসী চাকরিচ্যুত না হন এজন্য বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তিনি অভিবাসী বাংলাদেশিদের কারফিউ চলাকালীন সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান। করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সকল বাংলাদেশি অভিবাসীকে সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
শ্রম কাউন্সেলর মেহেদী হাসান ও প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এ খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে রিয়াদে এ ফুড বাস্কেট বিতরণ করবেন। অভিবাসী বাংলাদেশিরা খাদ্য সহায়তা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি যদি চরম খাদ্যাভাবে পড়েন এবং বেতন না পান সেক্ষেত্রে দূতাবাসের ই-মেইলে অথবা হোয়াটস আ্যপে তথ্য প্রদানের অনুরোধ করেন। এছাড়া দূতাবাসে যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য সার্বক্ষণিক হটলাইন চালু করা হয়েছে।
জেপি/এমএফ/জেআইএম