ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সরকারি চাল বিতরণ-সংরক্ষণের অনিয়ম রোধে নানা নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০

বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় খাদ্য অধিদফতরের চাল বিতরণ ও এই চাল সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে নতুন করে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রোববার খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এই নির্দেশনার চিঠি ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটের আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, 'গুদাম থেকে বিতরণ করা খাদ্যশস্যের বস্তায় আবশ্যিকভাবে ‘বিতরণকৃত’ স্টেনসিল ও সংগ্রহ নীতিমালা অনুযায়ী এলএসডি/সিএসডি, জেলা, পণ্য ও মৌসুমের নামসর্বস্ব স্টেনসিল প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এ নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আটক করা ‘শুধু খাদ্য অধিদফতরের জন্য তৈরি’ বস্তা পাওয়া যাচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে এ সকল বস্তা কোন গুদাম থেকে বিতরণ করা হয়েছে সে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় খাদ্য অধিদফতর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।'

'সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ওএমএস, খাদ্যবান্ধব ও ইপিওপি খাতে বিতরণকৃত বস্তায় জেলা/উপজেলা/এলএসডি/মিলের নাম সংবলিত কোড নম্বর প্রদান করতে হবে। অমোচনীয় লাল কালিতে এ কোড প্রদান করতে হবে। এ জন্য প্রচলিত বিধি-বিধান মোতাবেক আর্থিক ব্যয় নির্বাহ করা হবে।'

'সকল গুদামের পাক্ষিক মজুদ যাচাইয়ের লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা প্রতিটি উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ব্যবস্থাপক ও খাদ্য পরিদর্শক খাদ্য পরিদর্শক/কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক সমন্বয়ে কমিটি গঠন করবেন। কমিটি সরেজমিন এলএসডি/সিএসডি পরিদর্শন করে সংগ্রহ, ধান ছাঁটাই, ফলিত প্রাপ্তি, ইনভয়েস সূত্র প্রাপ্তি-প্রেরণ ও বিভিন্ন খাতে বিলি-বিতরণের তথ্য যাচাই করতে হবে।'

'পরিদর্শনকালে খামাল কার্ড সূত্রে খামালের (গুদামে স্তূপ করে রাখা বস্তা) বাস্তব অবস্থান, কামালের ওপরের স্তরের বস্তার সংখ্যা ও ওয়ারেন্টিসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই করতে হবে। অতঃপর প্রতিটি খামালের বস্তা গণনা করে কমিটির যৌথ স্বাক্ষরে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রতিস্বাক্ষর এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রত্যয়নসহ প্রথম পাক্ষিকের মজুদ প্রতিবেদন প্রতি মাসের ১৮ তারিখে এবং দ্বিতীয় পাক্ষিকের প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে আবশ্যিকভাবে পাঠাতে হবে।'

এতে আরও বলা হয়, 'কোনো জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের বেসরকারি গুদাম বা দোকানে খাদ্য অধিদফতরের বিতরণ করা খাদ্যশস্যের বস্তা আটকবিষয়ক কোনো সংবাদ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন সম্পর্কে জেলা/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মহাপরিচালককে অবহিত করে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করবেন। গঠিত কমিটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ঘটনা সম্পর্কে সরেজমিন তদন্ত করবেন। ঘটনার সত্যতা ও এর সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট মতামতসহ ২ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুস্পষ্ট মতামতসহ খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবেন। এসব অনিয়ম আত্মসাতের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা ও অগ্রগতি সম্পর্কে পাক্ষিত ভিত্তিতে আঞ্চলিক প্রতিবেদন মহাপরিচালকের নিকট পাঠাবেন।'

আরএমএম/জেডএ/পিআর