অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ে অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠনোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে এই তালিকা চেয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের শিবচরে অনুপস্থিত বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন শনিবার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আসছে, কোথাও কোথাও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা অনুপস্থিত রয়েছেন। আমরা তাদের তালিকা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঠানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের বলেছি।
তিনি বলেন, কোথাও কোনো অফিসারকে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ট্যাগ অফিসার করা হলো, কিন্তু তিনি অনুপস্থিত তিনি হয়তো বাড়ি চলে গেছেন, তার সার্ভিসটা আমরা পাচ্ছি না। সেজন্য কোনো কোনো স্থানে মেম্বাররা দুর্নীতি করছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর্মকর্তারাও দুর্নীতি করছে।
সচিব বলেন, ‘অনুপস্থিতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। তবে এই তালিকা পাঠানোর জন্য কোনো সময় বেঁধে দেইনি আমরা।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) মো. আব্দুল গাফফার খান জাগো নিউজকে বলেন, ছুটির মধ্যে যারা মাঠে অনুপস্থিত সেই সব কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। আমরা তাদের তালিকা পাঠানোর জন্য বলেছি।
গত বৃহস্পতিবার ছুটির মধ্যে নির্দেশ অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন দফতরের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের কাছে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এই কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরে তিন দফায় ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে ২৪ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঘোষিত ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরএমএম/এসএইচএস/পিআর