বৈদ্যুতিক বিপর্যয়, শনিবার কিট হস্তান্তর করছে না গণস্বাস্থ্য
বৈদ্যুতিক ও মেকানিক্যাল বিপর্যয়ের কারণে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট শনিবার (১১ এপ্রিল) সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে পারছে না গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে কিট হস্তান্তর করতে এক সপ্তাহের বেশি লাগবে না।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাতে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল কিট হস্তান্তর করার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আমাদের ওখানে বৈদ্যুতিক ও মেকানিক্যাল একটা বিপর্যয় হয়েছে। ফলে আমাদের এই ব্যাচ নষ্ট করে ফেলতে হয়েছে। নতুন ব্যাচ প্রস্তুত করতে আশা করি এক সপ্তাহের বেশি লাগবে না।’
বৈদ্যুতিক ও মেকানিক্যাল বিপর্যয়ের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না জানতে চাইলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সেটা আমরা মনে করছি না। তবে যে একদম..., আমরা তাও মনে করছি না।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ কে হায়দার মিলনায়তনে ১১ এপ্রিল বেলা ১১টায় সম্মেলন করে সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠনকে করোনা পরীক্ষার কিট হস্তান্তরের কথা ছিল। তবে এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না।
এই কিট তৈরির জন্য সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত এমন পাঁচজনের রক্ত চায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সরকারের পক্ষ থেকে সেই রক্ত দেয়া হয়। এ ছাড়া ওধুষ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারাও সম্প্রতি তাদের গবেষণাগার পরিদর্শন করে যান।
গত ৬ এপ্রিল সকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘ ৫ এপ্রিল চিন থেকে আসা করোনার কিট তৈরির উপাদান আমরা পেয়েছি। যে পরিমাণ সরঞ্জাম এসেছে, তাতে আমরা ১০ হাজার সরঞ্জাম বানাতে পারব। কিটের আরও সরঞ্জাম আগামীকাল (৭ এপ্রিল ) কিংবা পরশু দিনের ( ৮ এপ্রিল ) মধ্যে চলে আসবে। সেটা হলে আমরা এপ্রিল মাসের মধ্যে ১ লাখ কিট তৈরি করতে পারব। এর চেয়ে বেশি করতে হলে অন্ততপক্ষে পাঁচ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের প্রতি মাসে ২০ লাখ করে তৈরি করার দরকার হবে।’
পিডি/জেডএ/পিআর