পুলিশ দম্পত্তি হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ২০ অক্টোবর
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বাদি পক্ষের আইনজীবী এ মামলার আসামি পুলিশ দম্পত্তির মেয়ে ঐশী রহমান ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
এ মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। এদিন আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ৮ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। এর আগে কারাগার থেকে ঐশী রহমান ও আসাদুজ্জামান জনিকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামি মিজানুর রহমান রনি জামিনে রয়েছেন। তিনিও আদালতে হাজির ছিলেন। এ মামলায় ৪৯ সাক্ষির মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত বছরের ৬ মে ঐশী ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
এর আগে গত বছরের ৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু আল খায়ের মাতুব্বর ঐশীকে প্রধান আসামি করে আরো দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঐশী একাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। হত্যার আগে মা-বাবাকে ৬০টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কফি খাইয়েছিল। রাসায়নিক পরীক্ষায় ঘুমের ওষুধে নাইট্রাস, টেনিন ও ট্রমাজিপাম-৩ এর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
এছাড়া স্বপ্না রহমানের ব্রোঞ্জের রক্তমাখা ছুরি ও ঐশীর রক্তমাখা কাপড়ের রক্তের মিল পাওয়া গেছে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের লাশ তাদের চামেলীবাগের বাসার বাথরুম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ঐশী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় ঐশীর চাচা বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনিকে গ্রেফতার করে।
একে/এমএস