ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইঁদুরের স্বর্গরাজ্য আজিমপুর ছোটমনি নিবাস

প্রকাশিত: ০১:২০ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

আজিমপুর ছোটমনি নিবাসটি ‘ইঁদুরের স্বর্গরাজ্যে’ পরিণত হয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় তলায় পিতৃমাতৃহীন, পরিত্যক্ত, দাবিদারহীন ও উদ্ধারকৃত এতিম শিশুরা সার্বক্ষণিকভাবে বসবাস করছে। বর্তমানে এই ছোটমনি নিবাসটিতে শূন্য থেকে দুই বছর বয়সী ২৬ জন ছেলেমেয়ের বসবাস। তাদের দেখভালের জন্য কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি ভবনটিতে ইঁদুরের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইঁদুরের দল যখন তখন যেখান-সেখান দিয়ে ভবনের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করছে। প্রয়োজনীয় দাফতরিক কাগজপত্র কেটে টুকরো টুকরো করছে। বইপুস্তক কাটছে। রান্নাঘরে শাকসব্জি ও ফলমূল কেটে নষ্ট করছে।

অনেক সময় ঘুমন্ত শিশুর ওপর দিয়ে এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছে। ইঁদুরের ভয়ে ক্ষুদে শিশুরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ইঁদুর মারার কল বসিয়ে, ফাঁদ পেতে কিংবা ওষুধ ছিটিয়েও ইঁদুরের অত্যাচার থেকে রেহাই মিলছে না।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন কক্ষে বাতাস চলাচলের জন্য সংরক্ষিত ছোট ছোট জানালার খোপে লোহার জাল বসানো হয়েছে। জাল লাগানোর ফলে তার আশেপাশের দেয়ালে ফুটো করেছে ইঁদুর।

ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, লোহার নেট লাগিয়েও ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রেহাই মিলছে না। দেয়াল ফুটো করে ইঁদুর ভেতরে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় দাফতরিক কাগজ নষ্ট করছে। বিভিন্ন কক্ষে ইঁদুর মারার ওষুধ ছিটিয়েও বংশ ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষুদে শিশুদের ইঁদুর কামড়াবে এটাই সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ছোট ছোট শিশুরা নিবাসটিতে আপনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওদের দেখভালে দায়িত্বে থাকা এক কর্মী জানালেন, কিছুদিন আগে ইঁদুর একটি শিশুর আঙুল কামড়ে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, শুধু এ ভবনটিতেই নয়, আশেপাশের ভবনেও ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে। ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলকেই ইঁদুর মারার ওষুধ একইদিনে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আশেপাশের কেউ ওষুধ ছিটানোর ব্যাপারে আগ্রহী না হওয়ার কারণে তারা ওষুধ ছিটালেও লাভ হয় না বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

এমইউ/একে/বিএ