প্রিন্টিং প্রেসও নজরদারিতে আসছে
রাজধানীর প্রিন্টিং প্রেসগুলোও এবার নজরদারিতে আনা হচ্ছে। বিভিন্ন উগ্রবাদি পুস্তিকা, লিফলেট, পোস্টার মুদ্রণ কোন কোন প্রেস থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম কনফারেন্সে এ নির্দেশ দেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, দেশে জঙ্গিবাদি তৎপরতায় সহযোগিতা করছে কিছু অসাধু প্রিন্টিং প্রেস। এসব প্রিন্টিং প্রেস মালিক পক্ষ মোটা অংকের টাকা নিয়ে নামে-বেনামে বিভিন্ন লেখক কিংবা উগ্র সংগঠনের পুস্তিকা, লিফলেট, ব্যানার পোস্টার ছাপিয়ে দিচ্ছে।
এসব অসাধু প্রিন্টিং প্রেস নরদারিতে আনা ও প্রেস কর্তৃপক্ষকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রিন্টিং প্রেসগুলোর তালিকা প্রস্তুত ও তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
এবিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রিন্টিং প্রেসগুলো থেকে জঙ্গি বা উগ্রবাদি প্রকাশনা মুদ্রণ বন্ধ করা সম্ভব হলে উগ্রবাদিদের প্রচারণা বন্ধ করা সম্ভব। এসব বিষয় বিবেচনায় ডিএমপি কমিশনার সংশ্লিষ্টদের নজরদারি রাখা ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া কনফারেন্সে রাজধানীতে নিজ নিজ এলাকার মাদরাসাগুলোতে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) যাতায়াত বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজায় রাজধানীর মণ্ডপ এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে যাতে কোনো ধরনের ইভটিজিং বা ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারির নির্দেশও দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। কনফারেন্সে পূজা মণ্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
পূজার প্রস্তুতি, পূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা দেয়া হবে। পুলিশ আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে। মণ্ডপগুলোতে থাকবে সিসি ক্যামেরা ও কন্ট্রোল রুম। সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো কন্ট্রোল রুমের মনিটর থেকে পর্যবেক্ষণও করা হবে।
কনফারেন্সে রাজধানীতে বসবাসকারী বিদেশিদের তথ্য জানতে হবে নিকটবর্তী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। বিভিন্ন এলাকার কোন কোন বাড়িতে বিদেশি নাগরিকেরা বসবাস করেন সে সম্পর্কে পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) জেনে রাখতে হবে।
কনফারেন্সে বলা হয়, যে সমস্ত জায়গায় বিদেশি নাগরিকেরা আসা-যাওয়া করেন যেমন- হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্লাব, বার, বিভিন্ন সংগঠনে পুলিশে নজরদারি বাড়ানো হবে। মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ। গুরুত্বের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া কনফারেন্সে ডিএমপি এলাকার বিভাগগুলোর মধ্যে সব ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সফলতার জন্য প্রশংসা করা হয়। শুধু তাই নয় গোয়েন্দা পুলিশের মধ্যে ডিবি পশ্চিম বিশেষ সফলতা দেখানো প্রশংসা করা হয়।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে বিভিন্ন ছোটবড় অপরাধ নির্মূলে থানা ও বিভাগগুলোর পরিকল্পনা ও অবজারভেশন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
কনফারেন্সে থানাগুলোর ওসি, সহকারী কমিশনার (এসি), উপ-কমিশনার (ডিসি), ও যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/বিএ
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ২ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৩ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৪ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ
- ৫ জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষ প্রয়োগে কুকুর হত্যার অভিযোগে থানায় জিডি