ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জনস্বার্থে ওএসডি আদেশ জনস্বার্থেই বাতিল

প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

জনস্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদফতরে যে কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হলো ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই সেই কর্মকর্তার ওএসডির আদেশ জনস্বার্থে বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সরকারি এই কর্মকর্তা হলেন মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মেডিকেল সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম মুশতাক হোসেইন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ তুঘলঘি আদেশের ফলে ‘জনস্বার্থ’ শব্দটি নিয়েই এখন স্বাস্থ্য সেক্টরে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সকলের মনে এখন প্রশ্ন জেগেছে কী এমন জনস্বার্থে তাকে ওএসডি করা হলো আবার কোন জনস্বার্থে সেই আদেশ বাতিল করা  হলো।

জনস্বার্থের কথা বলা  হলেও মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের সভায় সংহতি প্রকাশ করায়  ডা. মোশতাক হোসেইনকে ওএসডি করা হয়!

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ওএসডির আদেশ  স্বাভাবিক কার্যক্রম বলে পরিগণিত হলেও  হঠাৎ করে ডা. মুশতাক হোসেইনের মতো সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করায় সমালোচনার ঝড় উঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএমএর সাবেকি এক নেতা ক্ষোভ  প্রকাশ করে বলেন, কারণ ডা. মুশতাক শুধুমাত্র একজন  সরকারি কর্মকর্তা কিম্বা চিকিৎসা বিজ্ঞানীই নন, সৎ, মিষ্টভাষি ও তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তখনকার জাসদ ছাত্রলীগের এই নেতা। ওই ডাকসুতে ভিপি ছিলেন ছাত্রলীগের সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, এজিএস ছিলেন ছাত্র ইউনিয়েনের নাসিরউদ্দোজা।

তিনি ১৯৯০ সালের এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা ও ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস)।

জানা  গেছে, গত শুক্রবার তিনি জাতীয় জাদুঘরের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। ওই সময় তিনি উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা  খতিয়ে দেখতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন প্রয়োজন মন্তব্য করেছিলেন। এতেই ক্ষিপ্ত হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর মুশতাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। ডা. মুশতাক পরে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডা. মোশতকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি ওএসডি আদেশ বাতিলের খবরটি শুনেছেন। এর বেশী কিছু বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

এমইউ/এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন