ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কৃষকের জন্য সরাসরি প্রণোদনা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় এনে ক্ষতিপূরণ, ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি। রোববার সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে মহামারি পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ আর আক্রান্তদের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি সাধারণ ছুটিতে দেশে কার্যত ‘লকডাউন’ অবস্থা চলছে, যা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে মূলত কৃষি, তৈরি পোশাকশিল্প এবং প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্সের ওপর। শেষের দু’টির অবস্থা বর্তমানে ভীষণ খারাপ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে কৃষক তার পণ্য বিপণন করতে পারছে না। যার ছাপ পড়েছে কৃষক ও কৃষির ওপর, ফলে কৃষি উৎপাদিত ফসল (পেঁয়াজ, ভুট্টা, সকল প্রকার সবজি, ফল, দুধ, ডিম) পানির দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিভিত্তিক ফার্ম, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্য। সরকার ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তিন ভাগে এই প্যাকেজের টাকা স্বল্পসুদে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে বলে বলা হয়েছে।

সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যমান করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য মন্দা মোকাবেলায় যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এক্ষেত্রে শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী (ক্ষুদ্র ও মাঝারী) সকলেই এর আওতায় পড়বে। কিন্তু এর আওতায় নেই কৃষকরা। কৃষি ক্ষেত্রে যেটুকু ঘোষণায় এসেছে তাও কৃষি ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ পোল্ট্রি, মৎস্য খামার, ডেইরির ক্ষেত্রে।

কৃষকদের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে সেগুলো হলো-

১। কৃষকদের সরাসরি প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।
২। গ্রামাঞ্চলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। ভূমিহীন-দরিদ্র কৃষকদের পর্যাপ্ত খাদ্য প্রদান করতে হবে।
৪। ইরি-বোরো ফসল কাটার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫। পেঁয়াজ, ভুট্টা, সকল প্রকার সবজি, ফল ও ধানসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এফএইচ/এনএফ/এমএস