পুলিশ হাসপাতালে করোনার জন্য আলাদা কর্নার : অবজারভেশনে পাঁচজন
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পাঁচজন। তাদের পর্যবেক্ষণে (অবজারভেশনে) রাখা হয়েছে। জ্বর-সর্দির মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া পাঁচজনের অবস্থা ক্রমেই উন্নতির দিকে, বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালটিতে বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশির রোগী। রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে ভর্তি কয়েকজনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় ইতোমধ্যে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এখন পর্যন্ত তাদের কারোর মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনোয়ার হাসানাত খান বলেন, তাদের মধ্যে জ্বর-সর্দির মতো উপসর্গ ছিল। এখন তারা ভালো আছেন।
তিনি বলেন, জ্বর-সর্দি নিয়ে আসা কয়েকজন রোগীর নমুনা জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মাধ্যমে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার পর প্রত্যেকের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ সংক্রমণ নেই।
বিগত দিনের তুলনায় সম্প্রতি করোনা দুর্যোগকালীন রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যাদের বেশিরভাগই জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি নিয়ে আসা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনোয়ার হাসানাত খান বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাছাড়া করোনা দুর্যোগকালীন এ পরিস্থিতি সামলাতে জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি নিয়ে আসা রোগীদের জন্য আলাদা সেবার কর্নার করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাই সেই কর্নারে জ্বর, সর্দি কাশি উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের কারো মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে সরকার ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা। তিনি জানান, ‘কোনো পুলিশ সদস্যের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বা উপসর্গ পাওয়া গেলে সরকার ও আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেজন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জেইউ/এনএফ/এমএসএইচ