ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লাইনে দাঁড়াতে সংকোচ হলে ত্রাণ যাবে বাড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২০

লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে সংকোচ বোধ করেন এমন কর্মহীন মানুষদের তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এই নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রকাশকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর আগে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে যে সকল কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সমস্যা আছে সেই সকল কর্মহীন লোক (যেমন- রাস্তায় ভাসমান মানুষ, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ব্যক্তি, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিকশাচালক, গাড়িচালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেস্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চা শ্রমিক, চায়ের দোকানদার) যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায়, তাদের তালিকা প্রস্তুত করে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৯ মার্চ পত্র দেয়া হয়েছে। সকল জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট জেলায় তালিকা প্রস্তুত করে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ করছেন। যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে সংকোচ বোধ করেন প্রধানমন্ত্রী তাদের আলাদা তালিকা প্রস্তুত করে বাসা/বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকসহ উপরে উল্লিখিত উপকারভোগীদের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে বিত্তশালী ব্যক্তি/সংগঠন/এনজিও কোনো খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে জেলা প্রশাসকরা প্রস্তুতকৃত তালিকার সঙ্গে সমন্বয় করবেন। যাতে দ্বৈততা পরিহার করা যায় এবং কোনো উপকারভোগী যেন বাদ না পড়ে।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। ত্রাণ বিতরণের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। সামগ্রিকভাবে সমন্বিত কার্যক্রম এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি বলে চিঠিতে উল্লেথ করা হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে প্রথম ধাপে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। এ সময়ে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

আরএমএম/বিএ/এমকেএইচ