বেতন ও রেশনের টাকায় ৫০০ দুস্থকে খাবার দিচ্ছে উত্তরা পুলিশ
‘ঘরে খাবার না থাকলে ক্রাইম করার চিন্তা কাজ করতে পারে’ আর খাবারের অভাবে যাতে কারও মধ্যে এই চিন্তা না আসে তাই পুলিশ নিজেই তাদের রেশন ও বেতনের টাকায় দিনমজুর ও দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করছে।
মহান এই উদ্যোগটি নিয়েছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল। আর তার আহ্বানে এগিয়ে এসেছেন গোঁটা উত্তরা বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা।
১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে তাদের এই কার্যক্রম। প্রতিদিন ৫০০ গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষদের একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগ। তাদের খাবারে রয়েছে সবজি-খিচুরি ও ডিম।
উত্তরা বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের রেশন ও বেতনের টাকায় পরিচালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। প্রতিদিন প্যাকেটে করে এসব খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে অসহায় ও নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে।
এ উদ্যোগের বিষয়ে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অসহায় পরিবারের মাঝে খাবার দেয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর মানুষের ঘরে খাবার না থাকলে মানুষের ক্রাইম করার চিন্তা কাজ করতে পারে। এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধও বাড়তে পারে। তাই এটা দু’দিকেই ভূমিকা রাখবে।’
এর আগে উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানা থেকে ৫০০ জন দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে টোকেন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। টোকেন কার্ডে দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী তাদেরকে প্রতিদিন খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
এআর/এমএফ/এমএস