ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের মেয়ে-বেয়াইন ওমরা ফেরত!

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০২০

চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভোইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর মেয়ে ও বেয়াইন ওমরা ফেরত জানার পর সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম।

নূর এ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িগুলোতে ১২টি পরিবার বসবাস করেন। পুলিশি পাহারা বসিয়ে বাড়িগুলোতে যে কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ওই চারটি বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবেন না।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জাগো নিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষায় এই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। ৬৭ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত ওই রোগী বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলশনে আছেন।’

‘হাসপাতালে ভর্তির সময় তিনি বিদেশ প্রত্যাগত কারও সংস্পর্শে আসেননি বলে দাবি করলেও অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছুদিন আগে সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন করে দেশে এসেছেন ওই বৃদ্ধের মেয়ে ও তার শাশুড়ি।’

করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি সাতকানিয়ার পুরানগড় ইউনিয়নে। সৌদি আরব থেকে ফিরে মেয়ে দামপাড়ায় পিতার বাড়িতে থেকে গেলেও মেয়ের শাশুড়ি বর্তমানে সাতকানিয়ার পুরানগড়ে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।

এই তথ্য জানার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রথমে নগরের চকবাজার থানা এলাকার দামপাড়া ১ নম্বর গলির ৬টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। পরে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি বাড়ি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং শুক্রবার মধ্যরাতে বাড়ি চারটির লকডাউন নিশ্চিত করা হয়।

এদিকে ওই বৃদ্ধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ধরা পড়ার আগে ওই ব্যক্তি নগরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন জেনে ওই হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ১৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

আবু আজাদ/এসআর/এমএস