ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘রাস্তায় কি ফুর্তি করতে বেরিয়েছেন?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২০

‘সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের ভয়ে থর থর করে কাঁপছে, প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। আর আপনি একটা গেঞ্জি গায়ে (মাস্ক ও গ্লাভস ছাড়া) কোনো প্রটেকশন ছাড়াই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। সঙ্গে করে ড্রাইভিং লাইসেন্সটিও আনেননি। ফাঁকা রাস্তায় কি ফুর্তি করতে বেরিয়েছেন?’

আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি প্রাইভেটকারের মালিককে উদ্দেশ করে উত্তেজিত কণ্ঠে এসব কথা বলছিলেন। তিনি পুলিশের একজন সার্জেন্টকে ডেকে সরকারি আদেশ অমান্য করার অপরাধে ৯২ এর ১ ধারায় মামলা করে দিতে নির্দেশ দিলেন।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ওই কর্মকর্তা বলেন, একটু তাকিয়ে দেখেন রাস্তায় কত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা। দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘরে থাকার অনুরোধ জানালেও তারা মানছেন না। নানা ছুতোয় ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। মনে হয় আনন্দে ঘুরতে বেরিয়েছেন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতে আজ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে সকাল থেকেই তৎপর দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করাসহ বেশ কিছু মামলাও দায়ের করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল প্রতি কমপক্ষে ১ হাজার টাকা ও প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকার জরিমানা করতে দেখা গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে রাস্তাঘাটে বের হওয়া যানবাহনের অধিকাংশই প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল । তারা নিজেদের কেউ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আবার কেউবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক পরিচয় দিয়ে গন্তব্যে যেতে চাইলেও পুলিশ তাদের বাসায় ফিরে যেতে বলেছে।

সকাল থেকে রাস্তায় অন্যান্য দিনের চেয়ে যানবাহন বেশি দেখা গেলেও বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়াকড়ি আরোপ ও মামলা দায়েরের ফলে বেলা ১১টার পর থেকে যানবাহন চলাচল কমতে থাকে।

এমইউ/এনএফ/এমকেএইচ