ভারতে আটকা পড়াদের ফেরাতে সময় লাগবে: হাইকমিশন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ভারত সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে যেসব বাংলাদেশি দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আটকা পড়েছেন তাদের ফেরাতে সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশিদের নিজ ব্যয়ে নিরাপদে ও সাশ্রয়ীভাবে দেশে ফেরার সম্ভাব্যতা বাংলাদেশ সরকার গুরুত্ব সহকারে যাচাই করছে, যা প্রক্রিয়াগত কারণে কিছুটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। এছাড়া সেখানে টাকা পাঠানো যাবে বলেও জানানো হয়। ভারতে অবস্থানকালে বাংলাদেশিদের সেই দেশের নিয়মকানুন মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভারত সরকার গত ২৫ মার্চ থেকে ২১ দিনের জন্য আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে, যা ভারতীয় ও বিদেশি নাগরিক নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য। তাই ভারতে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে নিজ নিজ এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, তথা ভারত সরকারের নিয়মাবলি যথাযথভাবে পালন করে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সেই সঙ্গে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার ও সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের।
ভারতে আটকে পড়াদের সঙ্গে কোনো রোগী থাকলে যত্ন নিতে বলা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিমান, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন রাস্তায় চলাচল (জরুরি সেবা ব্যতীরেকে) সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। চলাচলে নিষেধাজ্ঞা, স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর বাধ্যবাধকতা, বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে প্রত্যাবর্তনের পদ্ধতিগত জটিলতা এবং রোগী ও বয়স্কদের জন্য এরূপ ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সবাইকে ধৈর্য ধরে লকডাউন সময়টুকু পার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এইচএস/এমএসএইচ/এমএস