শ্রমিকদের ঘরে ঘরে চাল-ডাল-সাবান পৌঁছে দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কুলি, মৎস্যজীবী, দিনমজুরদের মতো শ্রমিকদের ঘরে ঘরে চাল-ডাল-সাবান পৌঁছে দেয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
লালমনিরহাটের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা জিনিস লক্ষ্য রাখবেন, কোনো মানুষ যেন না খেয়ে না থাকে। যাদেরকে আমরা সামাজিক জিনিসপত্র দেই, তারা তো পাচ্ছেনই। এর বাইরে যারা দিনমজুর, শ্রমিক শ্র্রেণি আছে আলাদা করে তাদের ঘরে ঘরে খাদ্যদ্রব্য ও হাত ধোয়া সাবান পৌঁছে দিতে হবে। এটা সবাইকে মিলে করতে হবে। ওয়ার্ড, তৃণমূল পর্যায়ে যেয়ে মানুষকে সাহায্য দিতে হবে। এ জন্য যা দরকার, আমরা তা করব।’
বরগুনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে বিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীভাতা এগুলো আমরা দিচ্ছি, তাদেরকে বাদ দিয়ে এই শ্রমিক শ্রেণিতে যারা আছে, এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত, তারা যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। তাদের একটা তালিকা করে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছাতে হবে। এই সময়ের জন্য তাদেরকে চাল, ডাল ও সেই সঙ্গে সাবান দিতে হবে। কারণ সবসময় হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এই জিনিসটার দিকে নজর দিতে হবে। আমার মনে হয়, তালিকা করে একেবারে ওয়ার্ড পর্যন্ত যেয়ে তৃণমূলের মানুষ যাতে পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এবং তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এই বিষয়টা আপনাদের দেখা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। (বরগুনার) জেলা প্রশাসককে বলব, সেখানে কতগুলো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন আছে। তাদেরকে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব। তারপরে বেদে শ্রেণি আছে, এখন তারা নৌকায় করে বসবাসও করতে পারে না, ঘুরতেও পারে। তাদের জন্য আলাদা জমির ব্যবস্থা করে দেবেন, সেখানে আমরা তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করে দেব। আমাদের সেই ধরনের বিভিন্ন প্রকল্প আছে। কোনো একটা মানুষ গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষে এটা আমাদের একটা ঘোষণা।’
সরকারের প্রকল্পগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন হলো, কতটুকু মানুষের কাজে লাগল, তা হিসেব করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এত প্রোগ্রাম, এত কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করছি। সেখানে মানুষের দারিদ্র্যের হার তো বেশি থাকার কথা নয়, এটা কমাতে হবে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, এত টাকা-পয়সা দিচ্ছি, সেটা মানুষের কল্যাণে কতটুকু কাজে লাগল, কতটুকু বাস্তবায়ন হলো সেটার একটা হিসেব আমাদের দিতে হবে, এটা আমি মনে করি। সেটা আমরা করতে চাই।’
পিডি/এমএফ/এমএস