সচিবালয়ে ডিজিটাল হাজিরা বন্ধ, সতর্কতায় ১৪ নির্দেশনা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সচিবালয়ে ডিজিটাল (বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতি) হাজিরা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের বায়োমেট্রিক যন্ত্রটি কাগজে মুড়ে রাখা হয়েছে। এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তাই বুধবার (২৫ মার্চ) শেষ অফিস। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের দুই নম্বর ভবনের সংযোগ স্থল ও দুই নম্বর ভবনের নিচে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বায়োমেট্রিক মেশিন কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সেখানে লেখা ‘নট ইন উইজ (ব্যবহার বন্ধ)’।
তিন নম্বর ভবনের নিচে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল হাজিরা মেশিটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখান লেখা রয়েছে, ‘আসুন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’
সচিবালয়ে বিভিন্ন ভবনের কক্ষের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা রয়েছে। কক্ষে প্রবেশের আগে হাত জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
অপরদিকে ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ’ শিরোনামে সতর্কতামূলক ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। করোনা প্রতিরোধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
১। দর্শনার্থী সীমিত করুন, তাদের সাথে সাক্ষাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।
২। অফিসের অভ্যন্তরে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এবং আলাপ থেকে বিরত থাকুন।
৩। অফিসে প্রবেশ করে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলুন এবং অফিসে অবস্থানকালীন একাধিকবার হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪। বাহির থেকে সরবরাহ করা প্যাকেটের নাস্তা বা খাবার পরিহার করুন।
৫। অফিসে নিজের ব্যবহৃত জিনিসপত্র (প্লেট, চায়ের কাপ ইত্যাদি) নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৬। অফিসের বা টয়লেটের দরজার হ্যান্ডেল/লক/বৈদ্যুতিক সুইচ, আলমিরার হ্যান্ডেল/হাতল/লক ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
৭। যথাসম্ভব ই-নথি ব্যবহার করুন।
৮। অফিসের হার্ড ফাইল/কাগজপত্রাদি স্পর্শ করার পর হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৯। মুখে, নাকে, কানে অযথা হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০। যথাসম্ভব লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
১১। নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তারা তার অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে দৃষ্টি রাখবেন।
১২। যানবাহনের স্টিয়ারিং/হাতল/ফ্লোর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
১৩। লকডাউন এলাকায় বসবাসকারী বা হোম কোয়ারান্টাইনে কেউ থাকলে; সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করে অফিসে আসা থেকে বিরত থাকুন।
১৪। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বাসায় ও অফিসে পালন করুন।
আরএমএম/এমএফ/জেআইএম