বন্ধ কলকারখানা, খোলা গার্মেন্টস
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব কালকারখানাও বন্ধ থাকবে। তবে বন্ধের এই বাধ্যবাধকতা থাকছে না তৈরি পোশাকশিল্প কারখানাগুলোর (গার্মেন্টস) ওপর।
সোমবার সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১০টি সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অনেক সময় দেখা যায় সাধারণ ছুটির দিনেও গার্মেন্টস বন্ধ থাকে। এই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রেও প্রয়োজ্য হবে কিনা- জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘ডিজিজটা (করোনা) সংক্রামক। গার্মেন্টেসে যারা কাজ করে ফ্যাক্টরি ও তার জায়গা, যেটা আমরা খুব ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখেছি প্রথম থেকে। এখানে কিন্তু একটা জিনিস আছে কেউ যদি ইনফেকটেড হয়, আল্লাহ না করুক। সে কিন্তু ওই ফ্যাক্টরির বাইরে আর যাচ্ছে না।’
‘কিন্তু ধরেন ৫-৬ জন আক্রান্ত হয়ে যদি ছুটিতে যায় তাহলে ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। সেই হিসেবে আগাগোড়াই কন্ট্রোল এনভায়রনমেন্টে, গার্মেন্টস মালিকারাও কিন্তু প্রত্যেকটি জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হাত ধোয়া, গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহারের কাজটা করে যাচ্ছে। সেই হিসেবে তারা ভালো আছে’ বলেন আহমেদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে তারা (গার্মেন্টস মালিকরা) সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কী করবেন।’
মুখ্যসচিব বলেন, ‘গার্মেন্টসের আরও প্রয়োজন হচ্ছে, গার্মেন্টসে আমরা তৈরি করছি পিপিই (পারসোন্যাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট), মাস্ক তৈরি করছি। এগুলো তৈরি করার জন্য গার্মেন্টেসের লোকজন আমাদের সহায়তা করছে। আমরা গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার নিয়েছি, আরও ৯০ হাজার পাচ্ছি। এভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেজন্য গার্মেন্টেসের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে না।’
আরএমএম/এমএফ/জেআইএম