ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কারখানা বন্ধ হলে করোনা ছড়াবে সারাদেশে : প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ২২ মার্চ ২০২০

মিল-ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে শ্রমিকরা সব গ্রামে চলে যাবে। এতে করোনাভাইরাস গ্রাম-গঞ্জসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। রোববার রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল-ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে সবাই গ্রামে চলে যাবে। যদি কেউ করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তাহলে গ্রামগঞ্জেও ছড়াবে এই ভাইরাস, যেমনটা হয়েছিল ডেঙ্গুর সময়। ডেঙ্গু প্রথমে ঢাকায়ই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পড়ে ছড়িয়ে পড়লো সারাদেশে। কারণ ঈদের ছুটিতে প্রত্যেকে গ্রামে গেল, তখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছিল। কারখানা বন্ধ করে দিলে করোনা থেকে রক্ষা পাব না। তবে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজনে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে শ্রমিকদের জন্য সহায়তা আরও বাড়াব। আমরা সচেতন হলে, সবাই মিলে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব।

সভায় শ্রমিক নেতারা কারখানা খোলা ও বন্ধ রাখার বিষয়ে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন।

পোশাক কারখানা খোলা রাখার পক্ষে মত দিয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু বলেন, আমরা গার্মেন্টস চালু রাখার পক্ষে। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা মনে করি কারখানা বন্ধ করে দিলেই সমাধান হবে না বরং বন্ধ করে দিলে তা আরও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন বলেন, এসব মিটিংয়ে বায়ারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গার্মেন্টস বন্ধ না করে শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সভায় কেউ কেউ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন। সভায় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা গার্মেন্টস বন্ধের পক্ষে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম সচিব কে এম আলী আজম, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, লেবার ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মো. আবু জাফর, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা প্রমুখ।

এর আগে শনিবার (২১ মার্চ) মালিক-শ্রমিকসহ স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত সমস্যা মোকাবিলায় শিল্প কারখানার শ্রমিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সবাই কল-কারখানা খোলা রাখার পক্ষে মত দেন।

এসআই/এমএফ/এমকেএইচ