করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সর্বাত্মক সহায়তার আহ্বান
দেশে এবং বহির্বিশ্বের সকল মানবাধিকার কর্মীদের মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-বিএইচআরসি।
রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে বিএইচআরসি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তার ক্ষেত্রে মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারি সর্বত্র বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এই মহামারি থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও বিদেশ থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক ও প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে দেশকে এক বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এক্ষেত্রে অজ্ঞতা এবং উদাসীনতার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শ মানছে না অনেকেই। যার ফলে রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদেরকে বারবার নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করার প্রেক্ষিতে অনেককেই ইতোমধ্যে জেল-জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তাদেরকে সরকারের নির্ধারিত চিকিৎসালয়ে কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। বাস্তবে দেখা গেছে হাজারও অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু কিছু দুর্ভাগা ব্যক্তি সকল অনুরোধ উপেক্ষা করে যেখানে সেখানে ঘুরে ফিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অদক্ষতা এবং উদাসীনতার প্রেক্ষিতে বাজার থেকে প্রায় উধাও হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন মাস্ক। মানুষের জীবন রক্ষার্থে উলেখিত সামগ্রী দুটি সাধারণ মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকারি পদক্ষেপ জরুরি প্রয়োজন।
করোনাভাইরাস হোম কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি নিম্নরূপ :
* একটি পৃথক কক্ষ বেছে নিন, এটাচ বাথ ও ওয়ালে ভেন্টিলেটেড হলে ভালো হয়।
* দরজা বন্ধ রাখুন, জানালা খোলা রাখুন। রুমে এয়ারকন্ডিশনার থাকলে বন্ধ রাখুন।
* অন্য কেউ রুম শেয়ার হতে বিরত থাকুন।
* বাসার অন্য সবার হতে আলাদা একটি বাথরুম ব্যবহার করুন। যদি বাসায় একটিই বাথরুম থাকে তবে কোয়ারেন্টাইনকৃত ব্যক্তি প্রতিবার সবার শেষে যাবেন এবং নিজে পরিষ্কার করে আসবেন।
*কোয়ারেন্টাইনরত ব্যক্তি মাস্ক পরিধান করবেন। আলাদা পাত্রে খাবেন।
* যাবতীয় সিক্রেশন, টিস্যু, ব্যবহৃত মাস্ক রুমের ভিতরে একটি বিনে ডাবল পলিথিন ব্যাগে জমাবেন। টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ আসলে ডিসপোজ করবেন।
* ঐ ব্যক্তির নিকট সার্বক্ষণিক একটি মোবাইল থাকবে এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ দরজা বন্ধ করে অথবা মোবাইলে হবে।
* ঐ ব্যক্তির যাবতীয় প্রয়োজনে ঘরের যেকোনো একজন যিনি অপেক্ষাকৃত তরুণ ও ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী তিনি নিয়োজিত থাকবেন। তিনি ক্লোজ কন্টাক্ট না হয়ে প্রটেকশন নিয়ে তাকে সহায়তা করবেন।
* যে বাসায় যেকোনো একজন কোয়ারেন্টাইন এ আছেন সে বাসায় সবধরনের ভিজিটর নিষিদ্ধ থাকবে কোয়ারেস্টাইনরত সময়কালে।
এইচএস/এসএইচএস/পিআর
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা, প্রজ্ঞাপন জারি
- ২ নিজের ‘দুর্নীতির অভিযোগ’ নিয়ে যা বললেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান
- ৩ বিআরটিএ পরিচালকের সঙ্গে ট্রান্সপোর্ট রিপোর্টার্স সদস্যদের সাক্ষাৎ
- ৪ উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে অফিস-ল্যাপটপ
- ৫ অপরিকল্পিত উন্নয়ন খাদ্য জোগানে সবচেয়ে বড় বাধা: উপদেষ্টা ফরিদা