ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘আমি ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি, আমার একটা দায়িত্ব আছে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২০

নাজমুল হাসান পাপন- এক নামে সবাই চেনে তাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সর্বোপরি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের ছেলে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব আসনের সংসদ সদস্যও।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও বিশ্বের স্বনামধন্য ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তাও তিনি। সে হিসেবে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতিও বটে।

আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেটের নানা বিষয় ছাড়াও পাপনকে কথা বলতে হয়েছে চলমান করোনভাইরাস সঙ্কট নিয়েও। বেক্সিমকো কর্মকর্তা, সঙ্গে ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় পাপনের কাছে।

তখনই তিনি জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি করোনা মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুত এবং এ ব্যাপারে যত ধরনের ওষুধ এবং আনুষঙ্গিক প্রয়োজন- সেগুলো সরবরাহ করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছেন তারা।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘দেখুন আমি আপনাদের একটা কথা বলি। আমি বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি। তাই অবশ্যই আমার একটা দায়িত্ব আছে। ১৫ দিন ধরে আমার মনে হয়, এটা নিয়েই শুধু কাজ করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বা আমার সমিতির থেকে যা যা করণীয় সব করছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। কি কি ওষুধ লাগবে না লাগবে, কি কি ওষুধ এই চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, কি কি ওষুধ আমরা বানাতে পারবো না (সব নিয়ে আমরা কাজ করছি)। কিছু ওষুধ আছে যেগুলোর কাঁচামালসহ কি কি লাগবে সেগুলো তো আমরা ইমপোর্ট করতে পারি এবং বানাতে পারি।’

শুধু ওষুধ তৈরি করা নিয়েও বসে নেই তারা। পাপন বলেন, ‘কিছু জিনিস হয়তো ফিনিশড প্রডাক্ট নিয়ে নামতে হবে। এসব নিয়ে যোগাযোগ করছি। এমনকি প্রোটেক্টিভ গিয়ারস, যেটা নিয়ে হুলুস্থুল হচ্ছে (মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার) সেটা নিয়েও কাজ করছি আমরা ধারাবাহিকভাবে।’

বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নেয়ার বিষয়েও গুরুত্ব দেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আজকেও আমরা মিটিং করছি সরকারের সঙ্গে। কাল-পরশু আরো অন্যান্য বিদেশি সংস্থার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মিটিং আছে। আমরা কাজ করছি এবং আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে আরেকটু সিরিয়াসলি নেয়া পুরো ব্যাপারটা।’

এরপর পাপন বলেন, ‘আসলে আমি বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি এতোদিন। গত ১০-১২ দিন ধরে আমি যাকেই জিজ্ঞেস করছিলাম, প্রিকোয়েশনের ব্যপারে ফোন দিয়েছিলাম, আমরা কি ধরনের স্টেপ নিতে চাই। আমাদের গ্রাউন্ড প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট, পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট যেগুলো আছে, সেগুলা এনে দিতে পারি, আপনাদের কতগুলো লাগবে। সবাই বলেছে দরকার নেই। আমার ধারণা ছিল এটা মনে হয় আছে পর্যাপ্ত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটা পর্যাপ্ত নেই। তখন হয়তো বলেছে কেননা কোথাও থেকে আশ্বাস পেয়েছিলেন বা এলসি খুলেছিলেন আসছে এ ধরণের কথা।’

প্রাইভেট সেক্টর থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টার কথা জানালেন পাপন। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা হবে, আজকে থেকে শুরু হয়েছে তো। আর আমরাও প্রাইভেট সেক্টর থেকে চেষ্টা করছি, কিছু আমদানি করেছি। লাগুক বা নাই লাগুক, এটা তো আর বিক্রির জন্য আনছি না। যা আনবো এটা সব ডোনেশনই হবে। প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট আমদানি করছি, ওষুধ আমদানি করছি, যা যা দরকার হয় সবই করছি। কিন্তু আমাদেরটা তো আর সবার চাহিদা মেটাবে না, তারপরও যতজনের সাহায্যে আসে, যতটুকু সাহায্য করতে পারি সেটাই।’

নিজের এলাকায়ও সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা জানান পাপন। তিনি বলেন, ‘তবে এখন অবস্থা বদলেছে। ঘনঘন মিটিং হচ্ছে, এখন ওনারা বলতে পারবেন। আমি আজকে যেমন আমার এলাকার সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি। ডিসিকে বলেছি, ইউএনওকে বলেছি আপনারা তালিকা প্রস্তুত করেন কি কি লাগবে আপনাদের। সরকার যা দিচ্ছে ভালো, কিন্তু আমিও আপনাদের সাহায্য করতে চাই।’

করোনার কিট আবিষ্কার প্রসঙ্গে পাপনের বক্তব্য

তাদের সাথে (গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র) আমার কোনো কথা হয়নি, তবে আমি দেখেছি। এটাতো খুবই ভালো খবর। যদি এতো সস্তায় টেস্ট করা যায় তবে তো এটা খুবই ভালো খবর। কোনো সন্দেহ নাই।

এটা হচ্ছে কি, এটা ইনভিড্রো ডায়াগনস্টিকতো, এটারে টেস্ট মেডিক্যাল ডিভাইসের মধ্যেই করে। এটা কিছুটা ব্যাতিক্রম। তাই এই ডিফারেন্ট জিনিসটার প্রোটোকল কেমন হবে সেটা আসলে আমরা জানি না। হঠাৎ করে একটা জিনিস কিভাবে করা হবে না হবে সেটা জানা নেই।

আমার মনে হয় এখানে সবচেয়ে ভালো হত ডব্লিউএইচওকে জানালে। যেমন ধরেন আমাদের ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এটা সাবমিট করেছে। এখন ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে এটার প্রোটোকল আছে কিনা সেটাও আমি সিউর না। যারা এই জিনিস আগে বানিয়েছে তাদের থেকে প্রোটোকল এনে বা তাদের মতামত নিয়ে বানালে সেটা ভালো হত না? যদি হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব। এটা যত আসবে ততো আমাদের জন্য ভালো।

আইএইচএস/জেআইএম