ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল

প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫

বিশিষ্ট লেখক, কলামিষ্ট ও বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে যে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সকল মহলের মতামত উপেক্ষা করে সরকার কোনো প্রকার গণশুনানি না করেই একতরফাভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করায় জনগণের কাঁধে বর্ধিত ভাড়ার জগৎদল পাথর চেপে বসেছে।

গণপরিবহনে ভাড়াবৃদ্ধি করায় যাত্রীদের মতামত নিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বাস স্টপেজ ফার্মগেটে `ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির` উদ্যোগে রোববার আয়োজিত এক গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
 
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন ভুক্তভোগী যাত্রীর কথা শোনা হয়। সৈয়দ আবুল মকসুদ ছাড়াও শুনানি গ্রহণ করেন বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যাত্রী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শরীফ রফিকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা আজহারুল আলম জিকু, হাবিব রহমান, মোমেনা আক্তার প্রমূখ।

গণশুনানিকালে বেশিরভাগ যাত্রীরা যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া ভাড়া নির্ধারণের তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ভাড়া নির্ধারণকালে যে সিট দেখানো হচ্ছে তার চেয়েও অতিরিক্ত সিট সংযোজন করায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে গাড়িতে যাতায়াত করতে পারে না।

এ ভাড়া বৃদ্ধির পর দেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কর্মজীবী, শ্রমজীবী, ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক যাতায়াত খরচ ১৫শ` থেকে দুই হাজার কিংবা ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে বলে গণশুনানিকালে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তারা আরো বলেন, যে সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করেছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করাও তাদের দায়িত্ব।

এইচএস/আরএস/আরআইপি