ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এক লাফে ১০ টাকার থানকুনি পাতা ২০০ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০

থানকুনি পাতা খেলে কারোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে— এমন গুঞ্জনে এক লাফে ১০ টাকার থানকুনি পাতার দাম ২০০ টাকায় উঠেছে।

বুধবার সকালে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, থানকুনি পাতা খেলে কারোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। মুহূর্তেই এটি গ্রাম থেকে শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ফলস্বরূপ, রাজধানীর বাজারগুলোতে থানকুনি পাতা কেনার হিড়িক পড়ে যায়। হু-হু করে দাম বাড়তে থাকে এটির। গতকাল (মঙ্গলবার) যে থানকুনি পাতার আঁটি ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা বুধবার সকালেই ২০০ টাকায় উঠে যায়। এরপরও অনেক বাজারে গিয়ে থানকুনি পাতার দেখা মেলেনি।

রামপুরা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জামাল বলেন, সকাল থেকেই গুঞ্জন শুনছি, থানকুনি পাতা খেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এরপর থেকে এটি কেনার হিড়িক পড়ে যায়। গতকাল যে আঁটি ১০ টাকায় বিক্রি করেছি আজ তা ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তারপরও অনেক এসে নিতে পারেননি।

তিনি বলেন, বাঙালি হুজুগে মাতাল। কখন কী রটে, কেউ জানে না। এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে এখন সবাই আতঙ্কে। এ কারণে ১০ টাকার পাতা ২০০ টাকা হওয়ার পরও দেখতে দেখতে বিক্রি হয়ে গেছে।

মালিবাগের ব্যবসায়ী হোছেন বলেন, গতকালও এক আঁটি থানকুনি পাতা ১০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ আড়তে গিয়ে দেখি দাম বেড়ে গেছে। পরে শুনি করোনাভাইরাসের কারণে সবাই থানকুনি পাতা খাচ্ছেন। প্রায় ২০০ আঁটি থানকুনি পাতা এনেছিলাম। ২০০ টাকা আঁটি হওয়ার পরও সকালের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়।

thankuni-pata-02.jpg

রাতেই থানকুনি পাতার খোঁজে অনেকে মাঠে নেমে পড়েন

হাজিপাড়া বৌ-বাজার থেকে থানকুনি পাতা কেনা জুয়েল বলেন, গ্রামের বাড়ি থেকে মা ফোন করে থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেতে বলেছেন। এতে নাকি করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মায়ের কথা শুনে বাজারে এসে দেখি থানকুনি পাতার ব্যাপক দাম। এরপরও কিনলাম। উপকারে আসলে ভালো, না আসলে তো ক্ষতি নেই। কত টাকাই তো কতদিকে খরচ হয়!

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ছোবল এখন বাংলাদেশেও। ইতোমধ্যে একজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাইরাসটি। আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ জন। সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত দুই লাখের অধিক মানুষ। স্বাভাবিকভাবে মানুষের মধ্যে এ ভাইরাস নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা লোকসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এমএএস/এমএআর/এমএস