ঢাকায় গণপরিবহন জীবাণুনামুক্ত করছেন বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা
ভাড়া তুলতে প্রতিটি যাত্রীর কাছে যাওয়া বাসের সহকারীই হতে পারেন করোনাভাইরাসের অন্যতম বাহক। তাই নিজে বাঁচতে সে বাস হেল্পারকে বাঁচাতে হবে জীবাণু থেকে। সে লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা বাসের চালক, হেল্পারকে মাস্ক ও জীবাণুনাশক উপহার দিচ্ছেন। এ ছাড়া মাছ বিক্রেতা, রিকশাওয়ালাসহ যেসব পেশাজীবী অনেকের সঙ্গে মেশেন, তাদের জীবাণু থেকে বাঁচানোর মিশনে নেমেছে সগঠনটি।
ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, ‘দোয়া করবেন আমাদের জন্য, যেন কাজটি শুদ্ধভাবে করতে পারি, বাংলার হাসি রক্ষা করতে পারি।’
বুধবার দেখা গেছে, শতাধিক বাসকে জীবাণুনাশক ছিটানোর টার্গেট নিয়ে রাজধানীর সড়কে ভোরেই নেমে পড়েন স্বেচ্ছাসেবকরা। একটু পরেই যে বাসগুলো ভরে ওঠবে অফিসগামীতে। পরিবারের সুখ খুঁজতে গিয়ে যে মানুষগুলো সবটুকু ত্যাগ করতে রাজি, তারাই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন এই বাস থেকে। তাই বাসগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে চলছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। যেন কোনো পরিবার না হারায় তাদের সেরা মানুষটিকে।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, আজকে আমরা মসজিদে নামাজের আগে বিশুদ্ধকরণ প্রজেক্ট চালাব।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন ইতোমধ্যে নিজেদের বাসন্তী নামক পোশাক তৈরির কারখানায় মাস্ক তৈরি, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে হাত ধোয়ার জন্য পানির ব্যবস্থা, বিনা মূল্যে হ্যান্ড সেনিটাইজার, সাবান ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের তৈরি মাস্ক বিনা মূল্যে বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি মাস্ক কিনতে চান তবে ২৮ টাকা মূল্যে পাবেন।
জেডএ/জেআইএম