ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ট্রানজিট ব্যবহার করে আসছে ইউরোপের প্রবাসীরা

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল | প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ১৮ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করা হলেও এখনো যাত্রী আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখন ইউরোপ থেকে সরাসরি না এসে দুবাই বা কাতারে ট্রানজিট ফ্লাইট থেকে আসছে অনেক যাত্রী। গত দু’দিনে কমপক্ষে পাঁচজন যাত্রীকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছেন ইমিগ্রেশন পুলিশ। আরব আমিরাত ও কাতার এয়ারলাইন্সে এসব যাত্রী দেশে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক সংস্থা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর সর্বশেষ ১৭ মার্চের করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গতকাল দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোট ৩ হাজার ৩৫০ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশ থেকে ফ্লাইট বাংলাদেশে আসা বন্ধের নির্দেশনা জারি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য মহাদেশ থেকে ফ্লাইট আসা বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন মহাদেশের দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সরাসরি ফ্লাইট না থাকলেও কাতার ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট হয়ে যাত্রী আসছেন। আক্রান্ত দেশ থেকে না এলেও ট্রানজিট ফ্লাইটে থাকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে তারা সংক্রমিত হয়ে করোনাভাইরাস বহন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেক্ষেত্রে আপাতত কিছুদিনের জন্য হলেও সব দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গতকাল ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই প্রবাসী এবং তাদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হন।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা.মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত পারিবারিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। তবে সামাজিকভাবে এটি এখনও ছড়িয়ে পড়েনি। এ কারণে তিনি আক্রান্ত দেশ থেকে আসা সকল প্রবাসীকে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। সামাজিকভাবে করোনাভাইরাস ছড়ায়নি বলা হলেও অনেক রোগতত্ত্ববিদ বলছেন, সামাজিকভাবে সংক্রমণ ঘটেছে কি-না তা জানার জন্য জরিপ কিংবা গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি।

এমইউ/এমএফ/জেআইএম