নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউরোপ থেকে যাত্রী আনছে কাতার এয়ারওয়েজ
যুক্তরাজ্য বাদে ইউরোপ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ইউরোপ থেকে ৯৬ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছে কাতার এয়ারওয়েজ। এদের মধ্যে ইতালির যাত্রী রয়েছেন ৬৮ জন, বাকিরা জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্র বলছে, ‘মানবিক কারণ’ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়কে ‘ম্যানেজ’ করে আসছে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি (কিউআর ৬৩৪)। যেহেতু চলেই আসছে, তাই ফ্লাইটটির শতভাগ যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে অনুরোধ জানিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান।
সূত্র জানায়, ইউরোপ থেকে আসা যাত্রীদের নিয়ে ফ্লাইটটি দোহা থেকে রওয়ানা হয়ে ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় ফ্লাইটটিকে আসতে নিষেধ করেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। তিনি জানিয়ে দেন, এটি এলেও ঢাকায় অবতরণ করতে দেয়া হবে না। তবে পরে দোহা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে অনুমোদন নিয়ে নেয় এবং বিলম্বে রওয়ানাও দিয়ে দেয়। এটি সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমি বেবিচক চেয়ারম্যান হিসেবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রথমে ফ্লাইটটি আসার অনুমতি দেইনি। কিন্তু তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন চ্যানেলে যোগাযোগ করে পারমিশন নিয়েছে। মানবিক কারণ দেখিয়েছে, হয়তো সরকার সেজন্য পারমিশন দিয়েছে। ফ্লাইটটিতে যারা আসছেন, সবাই বাংলাদেশি।
যেহেতু চলেই আসছে, সেহেতু ওই ফ্লাইটের শতভাগ যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বলা হয়েছে বলেও জানান মফিদুর রহমান।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাস বিদেশফেরত প্রবাসীদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে বাংলাদেশেও। সম্প্রতি ইতালিতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে সেখান থেকে দেশে চলে আসতে থাকেন প্রবাসীরা। এই অবস্থায় প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হলে সেখানে হট্টগোল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বাধ্য হয়ে রোববার (১৫ মার্চ) বেবিচক সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লন্ডন বাদে ইউরোপ থেকে যাত্রী আনতে পারবে না কোনো এয়ারলাইন্স। যদি কোনো এয়ারলাইন্স এরপরও যাত্রী নিয়ে আসে তবে তাদের খরচেই ফেরত পাঠানো হবে।
এআর/এইচএ/এমকেএইচ