ইতালিফেরত ১৪২ জনকে নেয়া হয়েছে আশকোনা হজক্যাম্পে
ইতালির রোম থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪২ জন বাংলাদেশি। শনিবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮ টায় দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে ৫৮২) ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, থার্মাল স্ক্যানারে স্ক্রিনিংয়ে ইতালিফেরত ১৪২ জন যাত্রীর কারও গায়ে জ্বর ধরা পড়েনি। ইতালি থেকে রওনা হওয়ার আগেও তাদের জ্বর মাপা হয়েছিল। সেখানেও তারা সুস্থ ছিলেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শেষে তাদেরকে আপাতত আশকোনা হজক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
তাদের বহনকারী বিআরটিসির কয়েকটি নন-এসি বাস বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে হজক্যাম্পে পৌঁছায়। সেসময় বাসের জানালাগুলো খোলাই ছিল। ভেতরে বাস নিয়ে একে একে নামানো হয় যাত্রীদের। তখন তাদের সাথে হ্যান্ড-লাগেজও ছিল।
তখন যাত্রীদের স্বজনরা পায়ে হেঁটে হজক্যাম্পে আসেন। যদিও ক্যাম্পে প্রবেশের গেট সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।
তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদও ১৪২ জন ইতালিপ্রবাসীর দেশে ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ইতালিফেরত নাগরিকরা কেউ আশকোনা হজক্যাম্পে কোয়ারেন্টােইনে থাকতে চাইছেন না বলে জানা গেছে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে এই প্রবাসীদের দেশে ফেরার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনা-বিপর্যস্ত দেশ ইতালি। সেখান থেকে শতাধিক প্রবাসীর দেশে ফেরায় বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।
ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি খরচে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ৩১২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে চীনের উহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। তাদের আশকোনা হজক্যাম্পে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টইনে রাখা হয়। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
অন্যদিকে কয়দিন পরে হজ কার্যক্রম শুরু হবে। এ অবস্থায় ইতালিফেরতদের আশকোনা হজক্যাম্পে নাকি অন্য কোথাও রাখা হবে এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্য়ায়ে আলোচনা চলছে বলেও জানা গেছে।
এআর/এমইউ/এসএইচএস/এমকেএইচ