খুলনায় প্রস্তুত ১৫৫ শয্যার ‘করোনা ইউনিট’
করোনাভাইরাস শনাক্ত ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় খুলনা বিভাগের সরকারি হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ চালু করা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৫৫টি শয্যা। প্রতিটি হাসপাতালের বিশেষ করোনা ইউনিটে দ্রুত করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন। তবে খুলনায় এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মেলেনি।
সোমবার (০৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন। এই হাসপাতালে ১০০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। সেজন্য জনসাধারণকে দীর্ঘস্থায়ী সর্দি-কাশি-জ্বর হলেই বিলম্ব না করে চিকিৎসকের কাছে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস মুক্ত হলেও এ সময় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। দুটি রোগেরই বাহন একই ধরনের। তাই কাঁচা রস, অতিথি পাখি ও পাখি খাওয়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আপাতত বিদেশভ্রমণ বন্ধ এবং বিদেশ থেকে আসা বিশেষ করে চীনা নাগরিকদের সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছাতে বলা হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহম্মেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে পাঁচ শয্যার ‘আইসোলেশন ইউনিট’ খোলা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এই ইউনিটের প্রধান করে পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সহকারী পরিচালক চিকিৎসক ফেরদৌসী আক্তার বলেন, খুলনা বিভাগের সব হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। করোনা ইউনিটের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক কামাল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ শয্যার ‘আইসোলেশন ইউনিট’ খোলা হয়েছে। তবে খুলনায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস