বিদেশ ফেরতদের ১৫ দিন স্বেচ্ছায় ঘরে থাকার পরামর্শ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগত দেশি-বিদেশি নাগরিকদের কমপক্ষে ১৫ দিন স্বেচ্ছায় ঘরে থাকার (হোম কোয়ারেন্টাইন) অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। একইসঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজন, যারা ওই বিদেশফেরত যাত্রীর সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরও সীমিত পরিসরে বাইরে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জ্বর, হাঁচি-কাশি থাকলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনে টেলিফোন করে জানানোরও পরামর্শ তার।
রোববার দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হন। তাদের মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত ও একজন সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, `প্রতিদিনই বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও রেলস্টেশন দিয়ে বিদেশ থেকে কয়েক হাজার দেশি-বিদেমি বাংলাদেশে আসছেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ড মেশিনে জ্বর মাপা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকার্ড ও হেলথ ডিক্লারেশন ফর্মের মাধ্যমে তিনি কোনো ধরনের অসুখে ভুগছেন কি না, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও মাথা ব্যথা রয়েছে কি না, পূর্ববর্তী ১৫দিনে কোন কোন দেশ ভ্রমণ করেছেন ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিশেষ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা রোগীদের কমপক্ষে ১৫দিন স্বেচ্ছায় ঘরে থাকার পরামর্শের পাশাপাশি কোনো সমস্যা হলে তাকে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তাছাড়া আইইডিসিআর থেকেও প্রতি সপ্তাহে দুবার মোবাইল ফোন কিংবা টেলিফোনে যোগাযোগ করে তাদের স্বাস্থ্য কেমন তা জানতে চাওয়া হয়।’
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যেহেতু করোনাভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পেতে দুই থেকে ১৫ দিন লেগে যায়, তাই কেউ হয়তো বেখেয়ালে বাইরে চলাফেলা করতে পারেন এবং তিনি অজান্তেই পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে এ ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন।’
যেহেতু দেশে তিনজন রোগী ধরা পড়েছে সেহেতু সাবধান না হলে এ সংখ্যা দ্রুত বাড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। এ কারণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত নাগরিকদের মধ্যে যাদের ১৫দিন পার হয়নি তাদের স্বপ্রণোদিত হয়ে বাড়িতে অবস্থান করার অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে গত ১ মার্চ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও বিদেশ থেকে কেউ দেশে এলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে (স্বেচ্ছায় ঘরে থাকা) থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
জেডএ/পিআর