‘সুন্নাতে ভরা ইজতেমার’ দ্বিতীয় দিনে হাজারো মুসল্লির আগমন
দাওয়াতে ইসলামী আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সুন্নাতে ভরা ইজতেমা’র দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজধানীর সিভিল অ্যাভিয়েশন মাঠ। ইজতেমায় দেশ বিদেশ থেকে আসা আশেকে রাসুলদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় চলছে তিনদিনের এই সুন্নাতে ভরা ইজতেমা।
ইজতেমার দ্বিতীয় দিন ইসলামে জেহাদের নামে বিশ্বব্যাপী চলমান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বিশেষ বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।
জিহাদের নামে জঙ্গিবাদ ইসলামের কলঙ্ক করছে উল্লেখ করে দাওয়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ কামাল আত্তারী বলেন, 'ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। জঙ্গিবাদ নয়, মানবিকতা ও অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে, ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। তাহলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াপথে আসবে।'
তিনি বলেন, 'জিহাদের নামে দেশের তরুণ ও যুবকদের বিপৎগামী করা হচ্ছে। বোমা মেরে, মানুষ খুন করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের জিহাদ বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ সেই জিহাদ প্রকৃত জিহাদ নয়। আর তা ইসলামের জন্য আত্মত্যাগও হবে না।'
বৃহস্পতিবার সকালে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসুল পরিবেশনের মধ্যদিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল থেকে হালাল উপার্জনের বরকত ও হারাম উপার্জনের ক্ষতিসমূহ, সত্যবাদিতার বরকত ও মিথ্যাচারের ক্ষতিসমূহ, জান্নাত, দ্বীনের জন্য কোরবানি ও রাহে খোদায় সফরের গুরুত্ব, মৃত্যু হতে শিক্ষাগ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে কোরআন-হাদিসের দলিলভিত্তিক বক্তৃতা দেন- দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগ মোহাম্মদ ইমরান আত্তারী, মাওলানা সালাহউদ্দীন আত্তারী, কাওসার আত্তারী ও মোহাম্মদ সাজিদ আত্তারী।
দাওয়াতে ইসলামীর জিম্মাদার মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী জানান, সরকারের বিভিন্ন মহলে সহযোগিতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা আর লাখো আশেকে রাসুলের উপস্থিতিতে সুন্নাতে ভরা ইজতেমার কর্মসূচি চলছে। ইজতেমায় শুধু বক্তৃতা নয়, এখানে মুসল্লিদের নামাজ, কাফন দাফনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার (৬ মার্চ) জুমার নামাজের আগে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমার আখেরি মোনাজাত।
এমইউ/এফআর/এমকেএইচ