ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টিস্যু বক্সে বঙ্গবন্ধুর ছবি, অতি উৎসাহীদের সাবধান করলেন উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২০

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) টিস্যু বক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাপানো হয়েছে। বক্সটির একপাশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো এবং আরেক পাশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের লোগো সম্বলিত টিস্যু বক্স বিভিন্ন কক্ষে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছে। যা নিয়ে সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে এসব টিস্যু বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, এসএমএস টেকনোলজিস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ টিস্যু বক্স তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি টিস্যু বক্সের দাম ধরা হয়েছে ৫৬ টাকা। বিষয়টি জেনে তার কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘মুজিববর্ষের লোগো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যত্রতত্রভাবে প্রিন্ট করার একটি ঘটনা যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে হয়েছে, তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এই প্রিন্টের বক্সগুলো বাজেয়াপ্ত করেছি এবং এর পেছনে কে সেটি জানাতে বলেছি। পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়ে থাকলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আমাদের সমাজ, প্রশাসন, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের সবখানেই অবিবেচক আর অতি উৎসাহের কোনো কমতি নেই। পাশাপাশি অপরাজনৈতিক শক্তির দোসররা তো আছেই! এরা চাইবে যে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বিতর্ক সৃষ্টি করতে। এই চ্যালেঞ্জটি আমাদের আছেই। এই বিশাল প্রশাসনের কোথায় কে কোন বিতর্ক ঘটিয়ে ফেলছে তা আগে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর ব্যবস্থা নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। সকলের অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি ‘মুজিববর্ষের’ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম, ইত্যাদির দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য একটি জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আছে।

এই কমিটির প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই কমিটি কর্তৃক নির্দেশিত কাজের বাইরে কিছু করতে চাইলে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন দুস্থ, গৃহহীন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণমূলক কিছু করতে, যেমন তাদের জন্য গৃহনির্মান। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় তার সাধারণ মানুষের জন্য যেই সমান অধিকারের দেশ তিনি রেখে যেতে চেয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব। সুতরাং অতি উৎসাহীরা সাবধান!’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কাজে নানাভাবে জড়িত ছিলেন মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন), উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ও উপ-পরিচালক (বিশেষ)। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির মুখোশ পরে শিক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানান। যার প্রতিবাদ করেননি শিক্ষামন্ত্রী। এ নিয়ে গত ২ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সভায় ডা. দীপু মনির ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমএইচএম/এমএফ/এমকেএইচ