অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এমপির বাধা, তবুও হারালেন দখল
ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে বুড়িগঙ্গা-তুরাগ নদীর সংযোগস্থল চরওয়াশপুরে অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বুধবার চরওয়াশপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। অভিযানে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের দখলে থাকা প্রায় সাড়ে চার একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বুড়িগঙ্গার পশ্চিমপাড়ে কেরানীগঞ্জের চরওয়াশপুরে জেটি নির্মাণের অনুমতি নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন আসলামুল হক। এর পাশে অনেক জায়গা ঘিরে দেয়াল তুলে নিজের বলে দাবি করেছেন তিনি। মঙ্গলবার অভিযানে তেলের ডিপো উচ্ছেদ চেষ্টার পাশাপাশি দুটি ছোট ঘর ও দেয়াল ভেঙে দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জমি দখলমুক্ত করতে গেলে দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন এমপি আসলামুল হক। তিনি কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে বলেন, এ সার্ভে মানি না, বন্ধ করুন উচ্ছেদ অভিযান। প্রায় আধাঘণ্টা তিনি ছিলেন সেখানে। তখন ম্যাজিস্ট্রেট ও উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ে তিনি চলে যান।
এদিকে বুধবার বিআইডব্লিউটিএর অভিযানে বুড়িগঙ্গা-তুরাগ নদীর সংযোগস্থল চরওয়াশপুর মৌজায় সর্বমোট ১৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এগুলোর মধ্যে পাকা ব্যাংক প্রটেকশন দুটি (২২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রশস্ত), পাকা ওয়াল তিনটি (এক হাজার রানিং ফুট), অন্যান্য স্থাপনা ১০টি। এছাড়া মাটি-বালি অপসারণ করা হয় ৫০ হাজার ঘনফুট।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ও ১১ মার্চ পুনরায় অভিযান পরিচালিত হবে।
এএস/বিএ