ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বড়পুকুরিয়ায় পুরোপুরি পুকুর চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২০

কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরির ঘটনা পুকুর চুরি ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। লুণ্ঠনকারীদের আমরা দায় মুক্তি দিতে পারি না।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ক্যাবের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কাউন্সিল বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা চুরির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে এ সাংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সৈয়দ আবুল মকসুদ আরও বলেন, আমরা কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছি। সরকারও কমিটি গঠন করেছে। আমরা সরকারকে সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। দুর্নীতি ও জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের বড় উদাহরণ এটি। গোজামিল দিয়ে মানুষকে বুঝ দেয়ার চেষ্টা চলছে। জাতীয় সম্পদ যারা চুরি করে তাদের বিচার না করাও বড় অন্যায়।

ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, কেবলমাত্র সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, পরিচালনা বোর্ড, পেট্রোবাংলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে। দুদকের অভিযোগ পত্রে বিসিএমসিএলর সত এমডিসহ ২৩ জন অভিযুক্ত। ক্যাবের কমিশন মনে করে ২৩ জনের সঙ্গে পেট্রোবাংলা, জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযোগভুক্ত হবেন। তারা দায় এড়াতে পারেন না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, পেট্রোবাংলার প্রস্তাব মতে কয়লা সরবরাহের সিস্টেমলস ১.৫ শতাংশ ধরে নিলেও আত্মসাতের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক এমএম আকাশ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও প্রফেসর সুশান্ত কুমার দাশ প্রমুখ।

এইউএ/এএইচ/পিআর