ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বন্ধ হচ্ছে ইতালি-ইরান-কোরিয়ার অন অ্যারাইভাল ভিসা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধের প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬০টি দেশের মধ্যে এ মুহূর্তে ইতালি, ইরান ও কোরিয়া থেকে আগত দেশি-বিদেশি নাগরিকদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ তিনটি দেশ থেকে কেউ আসতে চাইলে তাদের সে দেশের মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ তিনটি দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো রোগী স্ক্রিনিং ছাড়া দেশে আসতে পারছেন না। থার্মাল কিংবা হ্যান্ড স্ক্যানারের মাধ্যমে তার জ্বর মাপা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো দেশ থেকে আসলেই তাকে কমপক্ষে ১৫ দিন স্বেচ্ছায় অন্তরীণ থাকতে এবং করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে দেখা করা কিংবা হাসপাতালে আসতে বলে দেয়া হচ্ছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি যারা বিদেশে চাকরি করেন, নেহাত জরুরি না হলে এখন দেশে আসা এড়াতে হবে। কারণ, আমরা চাই না আমাদের দেশ আক্রান্ত হোক। নিশ্চয়ই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও চান না তাদের মাধ্যমে দেশের মানুষ কিংবা পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হোন। দেশ ও পরিবারের স্বার্থেই এখন দেশে গমনাগমন বন্ধ রাখতে হবে

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছেই। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিশ্বের ৭৬টি দেশ ও অঞ্চলে ৯০ হাজার ৯২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে ৪৮ হাজার মানুষ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর তা চীনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি সামনে আসতে থাকে। প্রথমদিকে চীনেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি।

এমইউ/জেডএ/এমএস