খিজির হত্যাকাণ্ড তদন্তে অন্ধকারে পুলিশ : গ্রেফতার নেই
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মুহম্মদ খিজির খান হত্যাকাণ্ডে এখনো কোনো ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরেও সম্ভাব্য তিন কারণ ছাড়া কিছুই বলতে পাড়ছে না তারা। এক কথায় এ ঘটনা তদন্তে অন্ধকারেই রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থারা।
গত ৫ অক্টোবর সোমবার রাতে মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাটে নিজ বাড়িতে দুর্বিত্তদের হাতে খুন হন খিজির খান। এ সময় তার পরিবারের সদস্যদের হাত-পা-মুখও বেধে রাখে দুর্বিত্তরা। এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন খিজিরের ছোট ছেলে আশরাফুল ইসলাম।
তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ এখনো হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। ঘটনায় খিজির খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটির কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। ইতোমধ্যে তার ছেলে, ছেলে বউ, গৃহকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকারীদের সম্পর্কে ধারণা নেয়া হচ্ছে। তবে কেউ গ্রেফতার নেই, আসামিরা সনাক্ত হয়নি এখনো।
পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনার ছায়া তদন্তে নেমেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, র্যাব, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকাণ্ডের দিন রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের আলামত সংগ্রহ করেন তারা। তবে হত্যাকাণ্ডের ৫ম দিনেও জড়িতদের সনাক্তে কোন ক্লু বের করতে পারেনি এদের কেউই। মামলার এজাহারে অজ্ঞাত ৬-৭ দুর্বিত্তকে আসামি করা হলেও এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি যে কিলিং মিশনে কতজন উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুস্তাক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
আসামি সনাক্ত আর হত্যার মূল কারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল জলিল বলেন, ‘তদন্তের উল্লেখ যোগ্য অগ্রগতি নেই। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।’
এআর/আরএস/এমএস