দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হবে কক্সবাজারে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ন: বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। দ্বিতীয় এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা অনুমোদন দেয়ার আগে কিছু পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় যোগ করা হবে।
এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, তা সভা শেষে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বড় করে তুলতে হবে। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হবে। কারণ এটা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের রুটের মধ্যে।’
কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দরের বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সেজন্য গভীর সমুদ্রবন্দর করলে সেটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে; বাস্তুতন্ত্রে, ইকোলজিতে। তাই সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, সমুদ্রবন্দর অন্যত্র গড়ে তোলা হবে– এরকম একটা ধারণা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের দিয়েছেন।’
বয়স্ক ভাতা বাড়ানো, বিধবাদের পাশাপাশি স্বামী পরিত্যক্তদেরও ভাতা দেয়া হবে বলে সভায় জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘সম্পদের সুষম বণ্টনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ধনী-গরিবের পার্থক্য কীভাবে কমানো যায়, সেসব কথা চিন্তা করে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা আরও বাড়াবেন। বয়স্ক ভাতা বাড়াতেই হবে। শুধু বিধবা নয়, স্বামী পরিত্যক্তদেরও ভাতা দেয়ার কথা তিনি বলেছেন বা দেবেন।’
আয়বৈষম্য যেন কমিয়ে রাখা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও পরামর্শ দিতে বলেছেন বলে জানান শামসুল আলম।
গবেষণার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপের কথা তুলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) কথা, গবেষণা বেশি করে করেন। পানির নিচে কীভাবে ধান করা যেতে পারে, গবেষণা করেন। পানির ওপর ভাসমান অবস্থায় চাষ করা যায় কি-না, সেটা গবেষণা করেন। ঝুলন্ত চাষ কীভাবে করা যায়, সেটাও দেখতে বলেছেন। মোট কথা, গবেষণার জন্য তিনি বলেছেন।’
এ সময় শামসুল আলম বলেন, ‘মাটি ছাড়াও তো চাষবাস হয়, সেটাতে উৎসাহী করতে হবে। যেহেতু আমাদের জমি কম।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান সবকিছু বাংলায় হোক। তিনি চান সরল বাংলা। সরল বাংলা করা কঠিন। তবু প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা হলো আরও সরল, চলিত এবং সাধারণ ভাষায় লেখা উচিত। যাতে দেখে বুঝতে পারে সবাই।’
পিডি/এইচএ/পিআর